ব্যুরো নিউজ, ২৩ এপ্রিল: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একদিকে যখন কোণঠাসা রাজ্য সরকার, তখনই প্রকাশ্যে এলো খাদ্য দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। উল্লেখ্য সোমবারই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ঐতিহাসিক রায় শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি। বাতিল হয়েছে পঁচিশ হাজার সাতশো তিপ্পান্ন জনের চাকরি। এরই মধ্যে খাদ্য দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভোটের মধ্যেই হাইকোর্টের রায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে রাজ্য মন্ত্রীসভা
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি আদালতের
উল্লেখ্য, গত ১৬ ও ১৭ মার্চ খাদ্য দপ্তরের ৪৮০টি শূন্যপদের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই সাব ইন্সপেক্টর পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের তদন্তভার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিআইডিকে দিয়েছে। এডিজি সিআইডি-র নেতৃত্বে তদন্ত করবে সিআইডি। এমনকী রাজ্যের সব থানায় দায়ের হওয়া সব এফআইআর-এর তদন্ত করবে সিআইডি। অন্যদিকে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত আগামী ২২ মে-এর মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। অন্যদিকে ফের পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এখন দেখার প্রশ্নপত্র ফাঁসির অভিযোগের তদন্তে আর কী কী চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। অন্যদিকে নির্বাচনের দুর্নীতি নিয়ে আদালতের রায়ে রাজ্য সরকার ক্রমশ ব্যাকফুটে যাচ্ছে বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা।