ব্যুরো নিউজ, ২০সেপ্টেম্বর :জলের তাণ্ডবে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে দোতলা বাড়ি, একতলা বাড়িগুলি ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে। হুগলির খানাকুলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার ফলে এমনই করুণ অবস্থা দেখা দিয়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, জলের তোড়ে চোখের পলকে ভেসে যাচ্ছে পাকা বাড়ি। ইতিমধ্যেই বহু পাকা বাড়ি এভাবে ভেসে গেছে এবং একতলা বাড়িগুলির ছাদও জলছোঁয়া হয়েছে। বহু মানুষ এখন বন্যাকবলিত, গ্রামে গ্রামে জলের প্রবাহ আরও বেড়ে চলেছে।
রাশিয়া তেল সংস্থায় কাছে আটকে রয়েছে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলির মুনাফার বড় অংশ
জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে বাড়ি
বন্যার ফলে ত্রাণশিবিরগুলোতেও ঢুকে পড়েছে জল। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে হুগলিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বৃষ্টি থামলেও খানাকুলের জলস্তর এখনও বাড়ছে। খানাকুল থানার সামনে এবং বাসস্ট্যান্ডে নৌকা চলাচল করছে, যা বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরছে।
বাংলার বড়নগর গ্রাম পেল দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা
এদিকে বলাগড়ের জিরাট পঞ্চায়েতের চর খয়রামারি এলাকায়ও অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার অবস্থা। এই এলাকায় জলজলের কারণে গৃহবন্দি প্রায় কয়েকশো মানুষ। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ৬০টি পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা এবং বলাগড়ের বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আশ্বাস দেন যে, কালভার্টের জায়গায় নতুন কাঠের সেতু নির্মাণ করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক সংকটের নতুন অধ্যায়
প্রশাসন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া সকলের খাবারের ব্যবস্থা করছে। শুধু চর খয়রামারি নয়, বলাগড়ের বিভিন্ন অঞ্চলেও জল ঢুকতে শুরু করেছে, যেখানে কৃষিজমি ডুবে যাওয়ার ফলে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চাষিদের মধ্যে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।