ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটির (ওএসডি) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তিনি এখন অস্বস্তিতে রয়েছেন। এই অভিযোগের চিঠিটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে। তাহলে কি এই ঘটনায় নতুন কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে?
এসএসসি নিয়োগের জট কাটলোঃদীর্ঘ ৯ বছর পর শুরু হল প্রক্রিয়া
চিঠিটি কে পাঠিয়েছে?
সেক্সপিয়র সরণি থানার ওসিকে লেখা চিঠিটি অয়ন ঘোষ দস্তিদার নামের এক ব্যক্তি পাঠিয়েছেন। তিনি নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কর্মরত হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, কালিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ফিরহাদের ওএসডি, তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয়ের ভিত্তিতে তোলাবাজি করছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, কালিচরণ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন। তিনি নিজেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এই তোলাবাজি করছেন। এমনকি অভিযোগ উঠেছে যে তিনি কোটি কোটি টাকা তুলছেন।কালিচরণ লোকজনের সঙ্গে দেখা করে বলছেন যে তার অভিষেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, এবং এই সুযোগ নিয়ে তিনি টাকা আদায় করছেন। অভিযোগের মধ্যে বলা হয়েছে, কালিচরণ নিজেকে খুবই প্রভাবশালী হিসেবে জাহির করছেন এবং অনেক মানুষকে তিনি প্রতারিত করেছেন।এছাড়া, চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এটি এফআইআর হিসেবে গণ্য হতে পারে। সেই সঙ্গে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ, সাউথ ডিভিশনের কাছে একটি কপিও পাঠানো হয়েছে। সেক্সপিয়র থানায় এই চিঠিটি ২৬ সেপ্টেম্বর রিসিভ করা হয়েছে।
বিরাট কোহলির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনার জবাব দিলেন পার্থিব প্যাটেল ও তামিম ইকবাল
ফিরহাদ হাকিম এই অভিযোগের বিষয়ে বলেন, “আমি আগে এটা কখনও শুনিনি। যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আমায় দিত। আমি তদন্ত করাতাম। আমি জানি না কী ঘটছে।”তিনি আরও বলেন, “যদি এরকম কোনো অভিযোগ থাকত, তাহলে আমাকে জানাতে পারত। একজন মানুষের নামে এমন অভিযোগ আসলে, যে অভিযোগের ভিত্তি নেই, তাকে আমি কীভাবে সরিয়ে দেব?”এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ ও কালিচরণের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠছে। তবে এই অভিযোগের পেছনে কি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে?