ব্যুরো নিউজ ১৮ই আগস্ট ২০২৫ : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ভারতের নির্বাচন কমিশন রবিবার বিহারের সেই ৬৫ লক্ষ ভোটারের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাদের নাম বিতর্কিত ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR)’ প্রক্রিয়ার পর ১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই বাদ পড়া ভোটারদের তালিকা আপলোড করা হয়েছে। তালিকায় সেই সমস্ত ভোটারের নাম রয়েছে, যাদের নাম ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিহারের ভোটার তালিকায় ছিল, কিন্তু ১ আগস্টের খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তালিকা প্রকাশের কারণ ও বিবরণ:
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা নিযুক্ত বুথ-স্তরীয় এজেন্ট, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহায়তায় বুথ লেভেল অফিসাররা (BLOs) বাদ পড়া ভোটারদের এই তালিকা তৈরি করেছেন, যাদের শুমারি স্লিপ পাওয়া যায়নি। কোনো অসন্তুষ্ট ব্যক্তি তাদের আধার কার্ডের একটি অনুলিপি সহ তাদের দাবি জমা দিতে পারেন।”
প্রকাশিত তালিকায় বাদ পড়া ভোটারদের বিভিন্ন বিবরণ যেমন – ক্রমিক নম্বর, EPIC নম্বর, ভোটারের নাম, সম্পর্কের ধরন, আত্মীয়ের নাম, পুরানো অংশের নম্বর, পুরানো ক্রমিক নম্বর, বয়স এবং লিঙ্গ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এতে তাদের বাদ পড়ার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে।
Aadhar Card : আধারকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে মানা যাবে না , সুপ্রিম কোর্টের রায়
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ:
নির্বাচনমুখী বিহারে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল যে খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম এবং তাদের বাদ পড়ার কারণ প্রকাশ করতে হবে। আদালত জানায়, “২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম আছে, কিন্তু খসড়া তালিকায় নেই, এমন প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের তালিকা প্রতিটি জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে (জেলাভিত্তিক) প্রদর্শন করতে হবে।” আদালত আরও জানায়, নির্বাচন কমিশনকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে ভোটাররা তাদের বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে অবহিত হন।
আধার কার্ডের গুরুত্ব:
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য করেন, আধার কার্ড বসবাসের প্রমাণপত্র এবং পরিচয়পত্র হিসেবে আইনত স্বীকৃত একটি নথি। তাই, বাদ পড়ারা পুনর্বিবেচনার আবেদনের ক্ষেত্রে আধার কার্ড নথি হিসেবে জমা দিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনকে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার মধ্যে ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে, এই তথ্য স্থানীয় সংবাদপত্র, চ্যানেল এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্যও কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ আগস্ট।