doctor-student-murder-investigation

ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:গণপিটুনির পর যে রকম মারাত্মক আঘাত শরীরে পড়ে, তেমনই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়া। সিবিআই তদন্তকারীরা বলছেন, এককভাবে এই অত্যাচার করা সম্ভব নয়। তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যা ছিল প্রধান উদ্দেশ্য, এবং ধর্ষণের ঘটনাটি আসলে ধোঁয়াশা সৃষ্টির জন্য করা  হয়েছে।

পুজোর আগে রাজস্থানে বোমা হামলার হুমকি

১৫টি গুরুতর বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন

মৃত্যুর সময় শরীরে ১৫টি গুরুতর বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তে আরও ৯টি গুরুতর অভ্যন্তরীণ আঘাত দেখা গেছে, কিন্তু দেহের পিছনের অংশের আঘাতের কোনো উল্লেখ নেই। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এইসব অসঙ্গতির মাধ্যমে ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কয়েকটি অস্বচ্ছ ছবি পাওয়া গেছে, যেগুলো ফরেন্সিক পরীক্ষায় বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। মৃতদেহের নীচে নীল রঙের একটি তোয়ালে পাওয়া গেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ওই কাপড়ে কিছু রক্তের দাগ মিলেছে, কিন্তু তা শুধুমাত্র কান থেকে নাকি মাথার অন্য জায়গা থেকেও এসেছে—সেটা স্পষ্ট নয়।

কলকাতায় নিরাপত্তার নতুন দিশাঃ পুলিশ কমিশনারের পরিবর্তন ও জরুরি নির্দেশিকা

তদন্তকারীদের মতে, চিকিৎসক-পড়ুয়াকে একাধিক বার মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছে। তারা বলছেন, কীভাবে এমন প্রবল আক্রমণের পরেও সেমিনার কক্ষের জিনিসপত্র অক্ষত রয়ে গেছে, সেটাও সন্দেহের সৃষ্টি করছে। এর অর্থ হতে পারে, হত্যাকাণ্ড অন্যত্র ঘটেছে এবং পরে দেহটিকে সেখানে আনা হয়েছে।এই রহস্যময় ঘটনার আসল সত্যতা উন্মোচনের জন্য সিবিআই তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর