ব্যুরো নিউজ,১৮ এপ্রিলঃ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পর অবশেষে ‘চিরকুমার’ পরিচয় থেকে বেরিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির পরিচিত মুখ, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বয়স ৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার, নিউ টাউনের নিজের বাড়িতেই এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তিনি। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদার—রাজনীতির সূত্রেই আলাপ, সম্পর্ক এবং এখন সেই সম্পর্কই রূপ নিচ্ছে দাম্পত্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?
সম্পর্কের সূচনা থেকে সিদ্ধান্তের গল্প
লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কিছুটা নিঃসঙ্গতা অনুভব করছিলেন দিলীপ। তখনই রিঙ্কু প্রস্তাব দেন—”আপনার পাশে আমি থাকতে চাই।” দিলীপ প্রথমে রাজি না হলেও মায়ের ইচ্ছা এবং নিজের উপলব্ধি থেকে সিদ্ধান্ত নেন সংসারজীবনে প্রবেশের। এপ্রিল মাসে ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআর বনাম সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ম্যাচ দেখতে গিয়ে ক্লাব হাউসের ১১ নম্বর বক্সেই নাকি ‘পাকা কথা’ হয় দুই পরিবারের। ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয়। যদিও বিজেপির অন্দরমহলে কানাঘুষো চলছিল বহুদিন ধরেই। এমনকি সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ নাকি এই বিয়ে না করতে দিলীপকে অনুরোধও করেন। কিন্তু দিলীপ অনড়। তিনি জানিয়ে দেন, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
দিলীপের মা চেয়েছিলেন ছেলে যেন সংসারী হন, যেন তাঁর বার্ধক্যে পাশে থাকেন এক পরমাত্মীয়া। দিলীপের রাজনীতির ব্যস্ততা এবং রাজ্যজুড়ে ঘোরাফেরার মাঝেও কেউ যেন থাকেন যিনি দেখভাল করতে পারেন তাঁকেও এবং পোষ্য ‘নাড়ু’কেও। এ বিয়েতে তাঁর মায়ের আশাও পূর্ণ হচ্ছে। রিঙ্কু একজন বিবাহবিচ্ছিন্না গৃহবধূ, এক পুত্রসন্তানের মা। তাঁর ছেলে সেক্টর ফাইভে আইটি সংস্থায় কর্মরত। ৩ এপ্রিল ইডেনে খেলা দেখার সময় তিনিও সঙ্গে ছিলেন।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
এই বিবাহ অনুষ্ঠান হবে সম্পূর্ণ ঘরোয়া, শুধুমাত্র আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে। দিলীপ ঘোষ বরাবরই জাঁকজমকের বিপক্ষে। তাই বড়সড় সামাজিক আয়োজনের সম্ভাবনা কম। তবে বিয়ের পরে যদি কোনও ভোজ বা সংবর্ধনার আয়োজন হয়, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। রাজনীতির চাপে দিলীপ আগে কখনও বিবাহ নিয়ে ভাবেননি। তবে এখন তিনি বুঝেছেন—জীবনের একটা অধ্যায় বাকি ছিল, এবার তা পূর্ণ করার সময় এসেছে।