ব্যুরো নিউজ, ১৭ মে : লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই চাপ বাড়ছে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীর। ইতিমধ্যেই চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেব ‘ঘনিষ্ঠে’র বিরুদ্ধে। আর এরপর চাকরিপ্রার্থীর অডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত ফের অস্বস্তিতে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী।
‘তৃণমূল মানে তোলাবাজি’, এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নিশানায় রাজ্য সরকার
এদিকে একের পর এক সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। যতই দিন যাচ্ছে আরও জটিল হচ্ছে সেখানকার পরিস্থিতি। আর নানান ভিডিও সামনে আসতেই ফের শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। সন্দেশখালিতে কেউ কাউকে এক চুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ। সেই জায়গায় দাড়িয়ে যখন দুর্নীতি, কারচুপি, কাঠমানির অভিযোগে এক প্রকার জর্জরিত শাসকদল তখন এক চাকরিপ্রার্থীর অডিও প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
তবে এবার সন্দেশখালি নয়, এবার উত্তাল ঘাটালের রাজনীতি। সম্প্রতি একটি অডিও ( সেই অডিও-এর সত্যতা প্রকাশ করেনি EVM NEWS) প্রকাশ্যে এনেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ। আর সেই অডিওতে এক মহিলার সঙে কথা বলতে শোনা যায় দেবকে। আর টাকার বিনিময়ে চাকরি সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই চলে কথোপকথন।
হিরণের দাবি, চাকরি জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছেন ওই মহিলা। এরপর চাকরি না পেয়ে ফোন করে টাকা ফেরত চান তিনি। মহিলার সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের অতিও প্রকাশ্যে এনে এমনটাই দাবি হিরণের।
সেই অডিও-তে শোনা গিয়েছে, ওই মহিলা দেবকে জানান যে তিনি চাকরির জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেখানে রাম নামে এক ব্যক্তির কোথা উল্লেখ করে মহিলা ভলেছেন রাম তার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কিন্তু এখন চাকরিও মেলেনি এমনকি তাকাও ফেরত পাননি তিনি। বিষয়টি তিনি সায়ন্তনকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। কিন্তু কিছুি হয়নি। ওই মহিলার কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই বলেও দাবি করেছেন। আর বিষয়টি তিনি জনপ্রতিনিধি দেবকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন।
এরপরে শোনা যায়, দেবও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। আর ভোট আবহে এই অডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনায় দেব দাবি করেছে, এসব ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। মহিলার কণ্ঠস্বর এডিট করা হতে পারে। ভোটের মুখে বিজেপি একের পর এক অডিও প্রকাশ্যে আনছে।অপাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবিও করেন। এমনকি প্রয়োজনে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তবে বিজেপি প্রার্থী হিরণ জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টাই দেব জানত। ওই অডিও-তে সায়ন্তন নামের উল্লেখ করেছে ওই মহিলা। সায়ন্তন আসলে দেবের সেক্রেটারি। এটা চাকরি বিক্রি করার র্যাকেট।