ব্যুরো নিউজ,২০ আগস্ট: এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া । সদ্য ঘটে যাওয়া আরজি করে চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এর গ্রেপ্তারের পরেই এবার বিচারকের টাকা চুরি করে গারদের পেছনে চলে গেল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। ফলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিশ্বাসযোগ্যতা দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলো সর্বস্তরে।
এই পাতা ব্যবহার করলেই পাবেন দুর্দান্ত ফল, থাকবে না মাথায় একটাও সাদা চুল
সিভিকে অস্বস্তি
জানা গেছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিশ্বনাথ দে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চিকিৎসার জন্য। ই এম বাইপাসের ধারে ওই হসপিটালে থাকার সময় তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে রহস্যজনকভাবে ৪০ হাজার টাকা কেউ তুলে নেয় । পরে তিনি ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার হাসানের উপর তার সংশয় রয়েছে । পুলিশ তদন্ত শুরু করে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারেন ফুলবাগানের একটি এটিএম কাউন্টার থেকে হাসান টাকা তুলে বেরোচ্ছে। এর পরেই মগরাহাট থেকে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করে । তারা নিশ্চিত হয় ওই দুষ্কর্ম হাসানেরই । কিন্তু কিভাবে এটিএম কার্ড ক্লোন করা হলো কিভাবেই বা বিচারকের নাম্বার জানলেন তা যথেষ্ট সংশয়ের।
নাগালের বাইরে যাচ্ছে আলুর দাম বৈঠক নবান্নে
বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে কারণ আরজিকরের ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কীর্তিকলাপে মুখ পুড়েছে পুলিশ কর্তাদের এমনকি রাজ্য সরকারের । তারপরেই বিচারকের টাকা চুরি করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার । লালবাজারে পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন যে প্রতিটি তল্লাটের ডিসিদের বলা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের অপরাধ মূলক কাজের রেকর্ড রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে। সারা রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজের রেকর্ড বা কোন কেস নতিবদ্ধ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার ।অন্যথায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে আরো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে।