ব্যুরো নিউজ, ২৭ নভেম্বর : নারকেল, সর্ষে বা অলিভ অয়েলের চেয়ে অনেক বেশি ঘন ও চটচটে রেড়ির তেল সাধারণত চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের যত্নেও সমান কার্যকর। ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে তারুণ্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা কমাতে রেড়ির তেল অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধেও কার্যকর।
ওজন হাতের মুঠোতে রাখতে খাদ্যতালিকা থেকে এই ৫টি খাবার বদল করুন
রেড়ির তেলের ত্বকের উপকারিতা
- বলিরেখা কমায়:
রেড়ির তেলের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান ত্বকের গভীরে পৌঁছে আর্দ্রতা যোগায়। এটি চোখ, নাক ও ঠোঁটের চারপাশের স্পর্শকাতর অঞ্চলের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। পুরো মুখে না মেখে নির্দিষ্ট এই অংশগুলিতে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। - ব্রণ প্রতিরোধে সহায়ক:
এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও প্রদাহনাশক উপাদান ব্রণের সমস্যা কমায়। ত্বকের জ্বালা, ফোলাভাব ও পুড়ে যাওয়া স্থানেও এটি আরাম দেয়। - ফাটা ঠোঁটে ব্যবহার:
ঠোঁট ফাটা রোধে রেড়ির তেল দারুণ কাজ করে। লিপস্টিক ও লিপগ্লস তৈরিতে এই তেলের ব্যবহার রয়েছে। তবে সরাসরি না মেখে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কীভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করবেন?
রোজকার একই ধরনের হালুয়া বানানো ছেড়ে বানান ভিন্ন স্বাদের রকমারি হালুয়া, জানুন রেসিপি
রেড়ির তেল সরাসরি ব্যবহারে কিছু অসুবিধা হতে পারে কারণ এটি খুবই ঘন ও চটচটে। তাই এটি ‘ক্যারিয়ার অয়েল’-এর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।
- ক্যারিয়ার অয়েল হিসাবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
- তেল মাখার আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
- রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ব্যবহার করলে এটি ত্বক গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়।
নিয়মিত ব্যবহারে উপকারিতা
- ত্বক থাকে কোমল ও মসৃণ।
- বলিরেখা ও রুক্ষতা কমে।
- সংক্রমণ ও জ্বালা প্রশমিত হয়।