ব্যুরো নিউজ,২ নভেম্বর:কলকাতা শহর জুড়ে এবার ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে কাকের দল ফলে কিছুটা হলেও ঝাড়ুদারী করত সেই কাক এবার কলকাতা থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশ দপ্তরের ও পক্ষী বিশারদদের কপালে। এর কারণ নাকি কম্প্যাক্টর । পুরনো ভ্যাটের জায়গায় কম্প্যাক্টর বসানোর ফলেই নাকি হারিয়ে যাচ্ছে কাক।
খাবার না পেয়েই শহর ছাড়ছে কাক
থুথু ফেলার শাস্তিঃ পূর্ব রেলের কঠোর অভিযান!
কয়েক বছর আগেও শহরে প্রচুর সংখ্যায় কাক দেখা যেত। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন পার্কের গাছে আর খোলা ভ্যাটের চারিদিকে কাকের দেখা মিলতো অহরহ। আর সন্ধ্যে হলেই পার্ক গুলিতে গাছের ডালে তাদের ডাকাডাকিতে কান পাতা দায়। কিন্তু সেই ছবি আজ আর নেই। সংখ্যায় ব্যাপক হারে কলকাতা শহরে কমে গেছে কাকের সংখ্যা। এর পেছনে অবশ্য রয়েছে কম্প্যাক্টরের পাশাপাশি শব্দ দূষণ এবং নানাভাবে বায়ু দূষণ। বিভিন্ন পুজো এবং তার ভাসানকে কেন্দ্র করে যেভাবে শব্দ দানব হাত-পা ছড়াচ্ছে তাতে পক্ষিকুল বেজায় বিপদে। ফলে কাকও কমছে শহর থেকে। খোলা ভ্যাট থেকে যে খাবার মিলতো এখন কাকের দল খোলা ভ্যাট এর কাছে এসে বেজায় ব্যাজার মুখে ফিরে যাচ্ছে। এই খাবারের অভাবে শহর ছেড়ে দিচ্ছে কাকের দল। রাজ্যের রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক শিলাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান কাক দু ধরনের হয় পাতিকাক আর দাঁড় কাক।পাতিকাক শহরে ভিড় করে। আর যেখানে উন্মুক্ত আবর্জনা সেখানেই তাদের সবচেয়ে বেশি আনাগোনা। কাছেই গাছে তাদের বাসা। কিন্তু সেই ভ্যাট এখন আর নেই আধু্নিক যুগে ভ্যাতের দূষণ কমাতে সেই জায়গায় বসানো হয়েছে কম্প্যাক্টর।সেখানে মেশিনের মধ্যে সমস্ত আবর্জনা কুড়িয়ে ফেলা হয়। তাই খাবারের অভাবে কাক শহর ছাড়া হচ্ছে।
চা বাগানে কাঁটাতারের ফাঁদে আটকা পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ
এছাড়া দাঁড় কাকেরা সাধারণত জঙ্গলে থাকে। তারা শিকার ধরে উদরপূর্তি করে। তাদের খাবার হল ছোট ছোট পাখির ডিম, গিরগিটি , সাপ। তাই তারা গ্রামের দিকে বেশ সচ্ছন্দে রয়েছে তবে সেখানেও গাছ কেটে ফেলায় কমছে দাঁড় কাকও। খাবারের সমস্যা হলে কাকেরা স্থানান্তরে চলে যায়। তার প্রভাব পড়ে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে। নাগরিকদের অসুবিধার কারণেই ক্রমশ খোলা ভ্যাট বন্ধ করে কম্প্যাক্টর বসানো হচ্ছে শহরজুড়ে। কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশীষ কুমার বলেন আইলা ও আমফান ঝড় থেকে প্রচুর গাছ শহর থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছে তাই পাখিরাও অসুবিধায় পড়েছে। পুরসভা গাছ লাগাচ্ছে। তবে কাকের জন্য খোলা ভ্যাট রাখা যাবেনা।
 
				
 
								 
								 
								 
								
















