ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি: এই বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (MSME) খাতে একাধিক ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এতে পশ্চিমবঙ্গের ৪ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ রয়েছে এবং রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ২৩৮টি ‘ক্লাস্টার’ চিহ্নিত করেছে। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ৩৩ শতাংশ মানুষ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে MSME খাতে যুক্ত আছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবারের বাজেটের ফলে পশ্চিমবঙ্গের ৪ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।
দ্বিতীয় জমানায় ট্রাম্পের দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে সতর্কতাঃ আর্থিক সাহায্য বন্ধের হুঁশিয়ারি
ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশনস অফ কটেজ অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রি
ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশনস অফ কটেজ অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এইচকে গুহ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘MSME খাতে বিনিয়োগ আড়াই গুণ বৃদ্ধি পাবে, যা এই খাতের টার্নওভার প্রায় দ্বিগুণ করবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বাজেটের মাধ্যমে সরকার MSME-কে আরও শক্তিশালী করতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা কার্যকর করেছে।’’ অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন, MSME সংস্থাগুলোর জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। এছাড়া, নতুন একটি কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে, যা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে।
ক্রেডিট গ্যারান্টি কভারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হবে। এর ফলে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোর জন্য ঋণ পাওয়া আরও সহজ হবে এবং তাদের ব্যবসা প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হবে।এছাড়া, নতুন উদ্যোগের জন্য ‘স্টার্টআপ তহবিল’ এ আরও ১০ হাজার কোটি টাকা ঢালা হবে। আগের অর্থের সঙ্গে এবার আরও অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি টাকা যোগ করা হবে। বিশেষভাবে মহিলা উদ্যোক্তা, তফসিলি জাতি ও উপজাতির মধ্যে যাঁরা প্রথমবারের মতো ব্যবসা শুরু করছেন, তাদের জন্য নতুন প্রকল্প চালু করা হবে।
উদিত নারায়ণের চুমু কাণ্ডঃ বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন অভিজিৎ ভট্টাচার্যও
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ১ কোটিরও বেশি নিবন্ধিত MSME রয়েছে, যা ভারতের উৎপাদন খাতের ৩৭ শতাংশে অবদান রাখছে। এছাড়া, ভারতের রপ্তানির ৪৫ শতাংশের জন্য দায়ী এই MSME খাত। সরকার এই খাতে বিনিয়োগ ও টার্নওভারের সীমা যথাক্রমে আড়াই এবং দুই গুণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা এই খাতের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।এছাড়া, এই উদ্যোগগুলি যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ভারতের একটি শক্তিশালী উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করবে।