ব্যুরো নিউজ,১0 এপ্রিল: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে টহলদারি চালানোর সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক বিএসএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়ায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও বজ্রবিদ্যুৎ চলাকালীন সময়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় বিএসএফ-এর ১৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান দীপক কুমার (৪২)-এর।
১৪ বছর পর ‘নিরাপদ’ হলেন নিরাপদ মণ্ডলের পরিবার!
দীপক কুমার সীমান্তের সূর্যাপুর গ্রামের ২৩ নম্বর গেটে ডিউটিতে নিযুক্ত ছিলেন। হাতে রিভলভার নিয়ে তিনি নিয়মমাফিক রাত্রিকালীন পাহারায় ছিলেন। হঠাৎ করেই শুরু হয় প্রবল ঝড় ও মুষলধারে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে চলছিল ঘনঘন বজ্রপাত। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক বিকট শব্দে বাজ পড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দীপক কুমার।
বজ্রাঘাতে মৃত্যু, পরে মৃত ঘোষণা হাসপাতালে
দীপক কুমার মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আশেপাশের অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বিএসএফ শিবিরে নেমে আসে শোকের ছায়া। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, দীপক ছিলেন অত্যন্ত দায়িত্ববান এবং অভিজ্ঞ জওয়ান।ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশও হাসপাতালে পৌঁছায় এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে।
শোরুমের মার্বেলে লুকিয়ে আছে পাঁচ বিঘার গল্প! কি সেই গল্প?
প্রসঙ্গত, বর্ষাকালে সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে টহলদারির কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেনা ও আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের অনেক সময়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। দীপকের মতো জওয়ানরা তাঁদের কর্তব্যে এতটাই নিষ্ঠাবান যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও তাঁরা পিছু হঠেন না। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর তাঁর দেহ শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএসএফ-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দীপকের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দেশরক্ষার পথে এই শহিদতাই আমাদের প্রহরীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।