brazil

ব্যুরো নিউজ ১৪ মে: ব্রাজিলের কাটিঙ্গা অঞ্চলের প্রায় ৮৮ হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে শঙ্কু আকৃতির কোটি কোটি মাটির ঢিবি। প্রতিটি ঢিবি প্রায় ৩০ ফুট প্রশস্ত ও ৬ থেকে ১৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট। একটির থেকে আর একটির দূরত্ব গড়ে ৬০ ফুট। আয়তনে প্রায় ব্রিটেনের সমান এই রহস্যময় এলাকা দীর্ঘদিন ধরে জনমানবহীন এবং ঝোপঝাড়ে ঢাকা থাকায় নজর এড়িয়ে গিয়েছিল।

দিঘার জগন্নাথধাম বিতর্কে মমতার গর্জন: ‘‘হিংসের ওষুধ হয় না!’’

কে বানিয়েছে এই শহর?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?

২০১৮ সালে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণায় প্রথম নিশ্চিত করা হয়, এই বিশাল কাঠামোগুলি কোনও প্রাকৃতিক গঠন নয়। এগুলি তৈরি করেছে ‘সিনটারমেস ডিরাস’ নামের এক বিশেষ উইপোকা প্রজাতি, যারা মাত্র আধ ইঞ্চি লম্বা হয়। এরা রাতের বেলায় মরা পাতা সংগ্রহ করে, এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভূগর্ভে বিশাল সুড়ঙ্গ খনন করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উইপোকারা মাটি খুঁড়ে তোলার সময় উপরের দিকে ঠেলে দেয়, ফলে তৈরি হয় এই টিলা বা ঢিবি, যাদের স্থানীয় নাম ‘মুরুন্ডাস’। এই ঢিবিগুলি শুধু বাসস্থান নয়, বরং বিশাল এক সংগঠিত ‘উইপোকা শহর’। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এটি সম্ভবত পৃথিবীর বৃহত্তম জৈব নির্মাণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি।

“অপারেশন সিঁদুর”এর পর সীমান্তে উত্তেজনা,মমতা সহ ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে অমিত শাহের জরুরি বৈঠক

সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ১১টি ঢিবি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ চালান। এতে জানা যায়, কিছু ঢিবির বয়স প্রায় ৩৮০০ বছর, আর কিছু ৬৯০ বছর পুরনো। অর্থাৎ, এই ঢিবিগুলির নির্মাণ প্রাচীন মিশরীয় পিরামিড বা চীনের প্রাচীরের সময়কালেকেও ছুঁয়ে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গঠন শুধুমাত্র এক প্রজাতির উইপোকার দীর্ঘ দিনের নিরবিচার শ্রমের ফল। এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত বছরেও এই গঠনের ভিত নষ্ট হয়নি। উপগ্রহচিত্রে দেখা এই উইপোকা নগর সভ্যতা আজ প্রমাণ করে, ক্ষুদ্র প্রাণীরাও তাদের সৃষ্টিশীলতায় মানুষকে চমকে দিতে পারে। প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের এক আশ্চর্য নিদর্শন হয়ে রইল এই উইপোকার শহর।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর