মামলার ফলাফল নিয়ে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যালে এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তার নাম প্রকাশ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায়, কলকাতা হাইকোর্টে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে FIR দায়েরের দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়। মামলাকারী আদালতে উল্লেখ করেছেন, “পুলিশ কমিশনারের মতো উচ্চ পদে থেকেও বিনীত গোয়েল নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করেছেন, যা একটি গুরুতর অপরাধ।”বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে বিনীত গোয়েলের আইনজীবী মামলাটি খারিজ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “যে পুলিশ আধিকারিকের কথা বলা হচ্ছে, তাকে ইতিমধ্যে বদলি করা হয়েছে।”এই কথা শুনে মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি পাল্টা বলেন, “পুলিশ কমিশনার থেকে তাকে এডিজি করা হয়েছে। উনি তো প্রোমোশন পেয়েছেন। তাই এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হোক।”
সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল: আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষের দুর্নীতির প্রভাব
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি জানান, আপাতত এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেবে না আদালত। তবে, মামলাটি খারিজ করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্টের শুনানি শেষে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই মামলার পরিণতি শুধুমাত্র বিনীত গোয়েলের পেশাগত জীবনকেই প্রভাবিত করবে না, বরং এটি কলকাতা পুলিশের অভ্যন্তরীণ নীতি এবং দায়িত্বশীলতার উপরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলবে। আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা এবং বিতর্ক চলতে থাকায় মামলার ফলাফল নিয়ে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে।