ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর:ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চাপের মুখে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার ফলে আর চিকিৎসা করতে পারবেন না তিনি। এমনকি, ডাক্তার পরিচয় দেওয়ার সুযোগও হারালেন সন্দীপ ঘোষ।
পিচ নিয়ে বিতর্ক: গৌতম গম্ভীরের স্পষ্ট বক্তব্য
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে
গত ৭ অগাস্ট দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করেছিল। তাকে জানানো হয়েছিল, কেন তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, সেই বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে। কিন্তু ১০ দিন কেটে গেলেও কোনো জবাব দেননি সন্দীপ ঘোষ। এদিকে, গত শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তাকে সিবিআই গ্রেফতার করে। এরপরেও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কার না করায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে।মঙ্গলবার, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়কে চিঠি দেওয়া হয়, যাতে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরেও সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সালভাতোর স্কিলাচ্চির অবদান: বিশ্বকাপের কিংবদন্তি
এরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে। বৃহস্পতিবার লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সুদীপ্ত রায়, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। শান্তনু সেনকে সরিয়ে এই পদে বসানো হয় স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে শান্তনুকে সরিয়ে সুদীপ্তকে এই পদে বসানোর জন্য সন্দীপ ঘোষ চাপ দিয়েছিলেন।এখন সন্দীপ ঘোষ চিকিৎসা করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একসময়, যিনি জুনিয়র ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের হুমকি দিতেন, আজ তার নিজের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে গেল। এই ঘটনাটি শাসক ও চিকিৎসকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করছে: ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে?সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হওয়ার ঘটনাটি চিকিৎসা সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কেউই রক্ষা পাবে না।