ব্যুরো নিউজ,৪ অক্টোবর:বুধবার সকালে বাঁশদ্রোণীতে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে এলাকার লোকজন তৃণমূল কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের সঙ্গে দেখা করতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেল গড়িয়ে গেলেও কাউন্সিলরকে এলাকায় দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে এবং সেখানে চলমান খোঁড়াখুঁড়ির কাজই এই দুর্ঘটনার কারণ।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় টলিউডের মহিলাদের অস্বস্তিকর পরিবেশের সত্যতা বললেন
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে
বিক্ষোভের ফলে সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বৃহস্পতিবারও অনিতা কর মজুমদার এলাকায় আসেননি এবং ফোনেও পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি এলাকার পরিস্থিতির খবর রাখছেন, কিন্তু এখনই জনসমক্ষে আসতে চান না।বাঁশদ্রোণী কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। পুলিশ সকালে থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তৃণমূল দলের নির্দেশ রয়েছে, যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয়।যে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, তার পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংস্থা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও মৃতের পরিবারকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাতে জল খেলে বাড়ছে রোগের ঝুঁকি? জানুন কেন!
বুধবার সকালে জেসিবির পে লোডারের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় জনতাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। পুলিশকে ঘিরে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়, পাটুলি থানার ওসিকে কয়েক ঘণ্টা আটক রাখা হয়। পরে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ডিসি ঘটনাস্থলে আসেন।রাতের দিকে বাঁশদ্রোণী থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্ব দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, তারা সঠিক বিচার চান এবং এই ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।