ব্যুরো নিউজ, ৯ জানুয়ারি:বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এক নতুন মোড় নিতে চলেছে। সম্প্রতি, দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। তবে এই ঘোষণার পরই বিএনপি তাদের পরিষ্কার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। তারা সাফ বলে দিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে কোনও স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা মেনে নেবে না। বিএনপির এই অবস্থান দেশের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।বাংলাদেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর থেকে রাজনৈতিক মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দেব-ভক্তদের কুরুচিকর মন্তব্য,কিন্তু দেব চুপ! শিবপ্রসাদ ও জিনিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের
স্থানীয় সরকার নির্বাচন
বিএনপির দাবি, হাসিনার পতনের পর দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত ছিল। তবে মহম্মদ ইউনুসের তরফ থেকে বারবার জানানো হয়েছে, আপাতত জাতীয় নির্বাচন হবে না, বরং স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রথমে আয়োজন করা হবে।ইউনুসের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন করানোর কোনও অধিকার নেই। বিএনপি আরও দাবি করেছে, ২০০৭ সালের জুলাইয়ের গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ১৬ বছরের আন্দোলনকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর পাশাপাশি, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, “গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল গঠন করা মুক্ত, তবে এখন জনগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে।” তিনি আরও জানান, সরকারের ভেতরে ও বাইরের কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে প্রফেসর ইউনুসকে বিতর্কিত করতে চাইছে এবং নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চাইছে।
তিরুপতিতে পদপিষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যুঃ বিশৃঙ্খলার মধ্যে ভক্তদের হুড়োহুড়ি, দুঃখপ্রকাশ টিটিডি-র
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানই জনপ্রতিনিধিহীন। চট্টগ্রাম ছাড়া ১১টি সিটি কর্পোরেশন, ৩৩১টি পৌরসভা, ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদ, এবং ১২টি জেলা পরিষদে জনপ্রতিনিধি নেই। এ ছাড়া, প্রায় চার হাজার ৫৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অনেকেই অনুপস্থিত বা পলাতক। এই পরিস্থিতি স্থানীয় সরকার পরিষেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাই, ইউনুস দাবি করেছেন, অবিলম্বে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করা উচিত, যাতে জনগণ তাদের পরিষেবা পেতে পারে।এদিকে, বিএনপির প্রতিরোধের মধ্যে সরকারের পরিকল্পনা এগিয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
