বাঁদনা উৎসব

ব্যুরো নিউজ ১ নভেম্বর : সাবেক মানভূম ও পুরুলিয়ায় বাঁদনা পরব এখন একটি চমৎকার রঙিন উৎসব। কালীপুজোর পরের দিন থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে। কৃষিভিত্তিক এই অঞ্চলের মানুষ এই সময় গরু-গাভীকে সম্মান জানাতে ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বাঁদনা উৎসব পালন করেন।

ভারতীয় রেলে ভ্রমণের পর বিদেশিনীর অভিযোগঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড়

‘বাঁদনা’ উৎসবটা কি ?

‘বাঁদনা’ মূলত গো-বন্দনার উৎসব, যেখানে কৃষকদের বিশ্বাস, এই সময় মহাদেব নিজেই মর্ত্যে আগমন করেন।তাই গরুগুলোকে সারা রাত ধরে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও গানের মাধ্যমে জাগিয়ে রাখা হয়।এ বছরও গ্রামগুলির প্রতিটি কুঁড়েঘর শিল্পিত দেওয়ালচিত্রে সেজে উঠেছে। এই শিল্পকর্মে ব্যবহৃত রঙ পুরোপুরি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা পরিবেশের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক প্রকাশ করে। মহিলারা জমি থেকে বিভিন্ন ধরনের মাটি, যেমন খড়িমাটি, পলিমাটি, চুনামাটি সংগ্রহ করেন এবং এতে গোবর মিশিয়ে দেয়ালকে রঙ করার প্রস্তুতি নেন। দেওয়ালে আঁকা হয় নানা নকশা ও জীবনধর্মী ছবি, যা গ্রামের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে।

খলিস্তানপন্থী হত্যার প্রভাবঃ কানাডায় দীপাবলি উদযাপন বাতিল

প্রাকৃতিক উপাদান যেমন লাল মাটি, টায়ার পোড়ানোর ছাই, গেরুয়া মাটি থেকে লাল, সিমের পাতা থেকে সবুজ ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন রঙ তৈরি করা হয়। খড়িমাটি থেকে সাদা এবং জামাকাপড়ের নীল বড়ি থেকে নীল রঙ পাওয়া যায়। গ্রামবাংলার এই প্রাচীন লোকশিল্প ও সৃজনশীলতা স্থানীয় এবং বহিরাগত পর্যটকদের নজর কাড়ছে। লোকসংস্কৃতি গবেষক সুভাষ রায়ের মতে, “বাঁদনা উৎসব পুরুলিয়ার প্রাণের উৎসব যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতির গভীরতাকে তুলে ধরে।”

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর