ব্যুরো নিউজ, ২৮ এপ্রিল: ভোটের আবহে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বাগুইআটির বাগুইআটি অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকা। পরিস্থিতির সামাল দিতে নামান হল র্যাফ।
প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলের কর্মীকেই পিটিয়ে মারার অভিযোগ,ভোটের আবহে রণক্ষেত্র বাগুইআটি
বেআইনি অস্ত্রপাচারের সঙ্গে কি যুক্ত ছিলেন শাহজাহান? উঠে আসছে একাধিক তথ্য
ঘটনা সূত্রপাত শনিবার মধ্যরাতে। আর সূত্রের খবর ঝামেলা হয় এলাকার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। জানা যাচ্ছে, সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা নামে এক তৃণমূল কর্মী চায়ের দোকানে বসে ছিল। সেই সময় অপরগোষ্ঠীর কয়েকজন এসে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নর্দমায় ঢুকিয়ে ইট, লাঠি, রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর এলাকাবাসীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর পুলিশ চলে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফের অশান্তি শুরু হয়। এরপর এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়।
সঞ্জীব দাস নামক মৃত তৃণমূল কর্মীর ওপর এর আগেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানালেও কোন পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ মৃতের মেয়ের। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তার মেয়ে। অন্যদিকে, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান দেবরাজ চক্রবর্তী।