ariadaha case

ব্যুরো নিউজ, ১১ জুলাই: ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার কামারহাটির ঘটনা দেশ জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত একটি ভাইরাল ভিডিও। ১৩ সেকেন্ডের একটি ভাইরাল ভিডিও জুড়ে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণীকে দুই দিকে হাত পা ধরে কয়েকজন চ্যাংদোলা করে রেখেছেন। আর তাকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই নির্মম অবর্ণনীয় অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে।যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা ইভিএম নিউজ যাচাই করেনি। আর এই ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যে নামটি উঠে এসেছে তিনি হলেন, জয়ন্ত সিং।

‘খোরপোশ  অধিকার দয়া দাক্ষিণ্য নয়’ মুসলিম মহিলাদের আলোর নিশানা

মদন মিত্র অভিযোগ তুলছেন পুলিশ এবং সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে

কামারহাটি, আড়িয়াদহ সংলগ্ন এলাকায় একেবারে সাধারণ মানুষ এই গ‍্যাংয়ের ভয়ে সব সময় তটস্থ হয়ে থাকেন। শাসক তৃণমূল দলের বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান সহ পুলিশ প্রশাসনের একাংশের সঙ্গেও তার ওঠা বসার অভিযোগ রয়েছে। এরকম ধরনের একাধিক অপরাধের অভিযোগ শোনা যায়,জয়ন্ত সিং এবং তার গ‍্যাংয়ের দলবলের নামে। এবার বুধবার জয়ন্ত সিংকে ফের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পরেই ঘটে গেছে সেই ভয়ংকর ঘটনা।
দমদমের বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অভিযোগ করে বলেন, রাতের বেলায় তার কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনে হুমকি দিয়ে বলা হয় জয়ন্তকে জেল থেকে না ছাড়ালে গুলি করে দেওয়া হবে।হিন্দিতে গালাগালি করা হয়েছে। এই প্রাণনাশের হুমকি আসার পরেই সৌগত রায় যথেষ্ট ভীত এবং সন্ত্রস্ত। তিনি কি ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছেন?সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সৌগতর বক্তব্য, পুলিশ তো সবই জানে। পুলিশের হাতে কড়া আইন রয়েছে। তা প্রয়োগ করে এদের শায়েস্তা করতে পারে।

 

আবার ওদিকে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে বহু অনুষ্ঠানে জয়ন্ত সিংয়ের একত্রিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে দেখা যাচ্ছে। তবে তিনি তার সঙ্গে যোগের কথা অস্বীকার করেছেন। মদন মিত্র আবার দাবি করে বলেন, পুলিশকে এই ধরনের কোনো অভিযোগ করলেই বলে সৌগত রায়কে জানান। আর সৌগত রায়কে জানালে তিনি বলেন, দেখছি। এখন নিজেই প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন। তবে বিধায়ক মদন মিত্র যে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা নিজে থেকে করছেন সেই বিষয়টিও তিনি জানিয়েছেন। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে যোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন প্রশ্ন হল, যে জয়ন্ত সিং পুলিশি হেফাজতে বন্দি, তার এই উত্থান কামারহাটি, আড়িয়াদহ এলাকায় হল কিভাবে? আর বর্তমানে যখন তিনি পুলিশের জলে ধরা পড়েছেন, তখন তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদ, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে প্রত্যেকেরই একই জবাব, তারা তাকে চেনেন না। তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। আর এখানেই উঠে যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর