ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:আসাম রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে আসা ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম’ (আলফা)-র বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করেছে। সোমবার কেন্দ্রের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আলফা গোষ্ঠীকে চলমান বেআইনি কার্যকলাপের জন্য আরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, আলফা এখনও চাঁদাবাজি, সহিংসতা ও দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সংগঠনটি আসামকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে তাদের কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে।
মমতার নতুন সিদ্ধান্তঃ দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ
শান্তি বজায়
আলফা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা ১৯৯০ সালে কার্যকর করা হয়, এবং তার পর থেকে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বারবার বাড়ানো হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছিল। এবারের নিষেধাজ্ঞা বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধী) আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে। সেই সময় থেকেই আলফা তাদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য ভয় দেখিয়ে মানুষকে তোলাবাজি করিয়েছে, এবং চরমপন্থী কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, আলফা গোষ্ঠী দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার পক্ষে বিপজ্জনক কার্যকলাপে যুক্ত রয়েছে। তারা বেআইনিভাবে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত করে এবং একাধিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত একাধিক বিস্ফোরণ ও আইইডি পেতে রাখা সহ গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের স্বাধীনতা দিবসেও তারা অসমে বিস্ফোরক রেখেছিল।
সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতারঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়
এছাড়া, আলফা গোষ্ঠীর তিন সদস্যকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খতম করা হয়েছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। আলফার মোট ৫৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৬৩ জন আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের হেফাজত থেকে ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৫০ রাউন্ড কার্তুজ, ৯টি গ্রেনেড ও ২টি আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।এই নিষেধাজ্ঞা আলফা গোষ্ঠীকে কঠোরভাবে দমন করতে সহায়তা করবে, এবং ভারতের অখণ্ডতা ও শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
