লাবনী চৌধুরী, ২৫ ফেব্রুয়ারি: কথায় আছে ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না, কিন্তু ঠেলায় পড়ে মানুষ যে ঠিক কি কি করে তারই সাক্ষী থাকলো আজ গোটা বঙ্গবাসী। ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। গ্রামবাসীদের ধাওয়া খেয়ে পালানোর পথ খুঁজছেন অজিত।
গল্পের গরু গাছে ওঠে বটে!
ভৌতিক কাণ্ড! চালক ছাড়াই ছুটছে ট্রেন, কি হল শেষে?
সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। সেখানেই গ্রামের মহিলাদের হাতেই ‘কুপোকাত’ অজিত। পালানোর পথ না পেয়ে শেষে গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে পড়লেন। চাপের মুখে পড়ে নিজের মুখে স্বীকারও করলেন দুর্নীতির কথা। এমনকি দলও ছেড়ে দেবেন তিনি।
এদিন ফের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। তৃণমূলের কোনও প্রভাবশালীদের সঙ্গে আপোষ করতে রাজি নয় সন্দেশখালির বাসিন্দারা। এদিকে তৃণমূল নেতা অজিত সিরাজ ‘ঘনিষ্ঠ’। তাই কোনওভাবেই ‘সমঝোতা’ নয়। তাই বেড়মজুরের তৃণমূল নেতার কপালে জুটলো লাঠি-ঝাঁটা। মহিলা ‘বাহিনীর’ মুখে পড়ে একেবারে দিক শূন্য হয়েই ঢুকে পরেন এক স্থানীয়র বাড়িতে। আর সেই বাড়ির সামনেই চলে বিক্ষোভ। শাসক দলের ‘পোষা’ পুলিশ অজিতকে উদ্ধার করতে এলেও বাঁধে বচসা।
এরপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে অজিতের স্বীকারোক্তি, ‘দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল দল আর করবো না। দল ছেড়ে দেব।’ পাশাপাশি তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে দাবি করেন। এও জানান যে, জমি দখলের বিষয়টি তিনি নাকি জানতেনই না।