The train is running without a driver.

লাবনী চৌধুরী, ২৫ ফেব্রুয়ারি: দারুন গতিতে ছুটছে ট্রেন। কিন্তু ট্রেনে নেই চালক। কিন্তু সেই ভাবেই চলল ৮০ কিলোমিটার। অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড সব!

 The train is running without a driver.

কাঠুয়া স্টেশনে ট্রেনটি থেকে নেমেছিলেন লোকো পাইলট। কিন্তু তার পড়েই যা ঘটলো তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। লোকো পাইলট বিহীন সেই ট্রেন ছুটলো ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।

থামার নামে নাম নেই, একের পর এক স্টেশন পার হচ্ছে  নিমেষে। লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষ স্তম্ভিত। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে অঘটন। কিন্তু কোনই পরোয়া নেই ট্রেন ছুটছে তো ছুটছে, ব্রেক কষবে কে? লোকো পাইলট তো নেমে গেছে কখন…

সম্প্রতি এই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যা দেখে হতবাক সকলে। কেউ কেউ মনে করছেন ভৌতিক ঘটনা, কেউ আবার বলছেন চালকবিহীন ট্রেনের প্রযুক্তিমূলক পরীক্ষা, আবার কেউ বলছেন আজকালকার দিনে সবই ডিপফেক। তবে এসব কিছুই না। ঘটনাটা পুরোটাই তার উল্টো।

নিউ টাউনে দেখা মিলল বিরল পরিযায়ী পাখির

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া স্টেশন থেকে চালকবিহীন ছোটে ট্রেনটি। তীব্র আতঙ্ক ও উদ্বেগের পর অবশেষে পাঞ্জাবের পাঠানকোট স্টেশনের কাছে থামানো হয় ট্রেনটিকে।

Advertisement of Hill 2 Ocean

পা থর ভর্তি ৫৩ টি ওয়াগন নিয়ে জম্মু থেকে মালগাড়িটির গন্তব্য ছিল পাঞ্জাব। কাঠুয়া স্টেশনে পৌছতেই ট্রেন থেকে নেমে যায় লোকো পাইলট। এরপরেই ঘটে বিপত্তি! রেলকর্তারা জানিয়েছেন, নামার আগে হ্যান্ড ব্রেক না কোষেই নেমে গিয়েছিলেন চালক। পাহাড়ি উচ্চতায় ঢালের কারণে গড়াতে শুরু করে ট্রেনটি। মালগাড়িটি ঢালু লাইন ধরে চলতে শুরু করে অধীক গপরপর পাঁচটি স্টেশন তিতে। সেই গতি পৌঁছায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। পরপর পাঁচটি স্টেশন পেড়িয়ে যায় ট্রেনটি। এরপর পাঠানকোট স্টেশনের কাছে জরুরী ব্রেক ব্যবহার করে থামানো হয় ট্রেন।

তবে যে কোন সময় ঘোটতে পারত বড় সড় দুর্ঘটনা। তাই অতি দ্রুততার সঙ্গে কাজে নামে রেলের আধিকারিকরা। ওই রুটের সমস্ত রেল ক্রসিংগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ ক্রসিংগুলি দিয়ে সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ওই লাইনে যাতে অন্য কোনও ট্রেন না চলে, তারও ব্যবস্থা করা হয়। তারপরই  জরুরী ব্রেক ব্যবহার করে ট্রেনের গতি কমানো সম্ভব হয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর