ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বর্তমানে গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এই যন্ত্রটি ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত করা হয়েছে। আগের দিনগুলোতে, ট্রলারগুলিতে সাধারণ জিপিএস বা অন্যান্য সিস্টেম ব্যবহার করা হতো, কিন্তু সেগুলি প্রায়ই খারাপ হয়ে যেত এবং মেরামত করতে সমস্যায় পড়তে হতো। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে, এখন মৎস্যজীবীদের ট্রলারে বসানো হচ্ছে ‘টু ওয়ে এমএসএস ট্রান্সপন্ডার’ নামক অত্যাধুনিক যন্ত্র, যা সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে এবং মেরামতেও তেমন সমস্যা হবে না।
চিনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তঃ সামরিক বাহিনীতে সংকটের অন্ধকার দিক
মৎস্যজীবীদের জন্য একটি বড় সুবিধা
এই যন্ত্রের মাধ্যমে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রের মাঝখানে বা বিপদের সময় লিখিত বার্তা পাঠাতে পারবেন। ট্রলার মালিকদের আগেই এই যন্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সহজেই এর কার্যকারিতা বুঝতে পারেন। এর পাশাপাশি, একটি কেন্দ্রীয় অফিসও প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে ট্রলার থেকে পাঠানো বার্তা পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এছাড়া, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এটি পরিচালনা করা যাবে, যা মৎস্যজীবীদের আরও সহজ এবং দ্রুত যোগাযোগের সুযোগ প্রদান করবে।একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো, এই যন্ত্রে বিশেষ সেন্সর এবং জিও ফেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যদি কোনও ট্রলার ভারত-বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করে, তবে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় অফিসে অ্যালার্ম বেজে উঠবে, এবং মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হবে।
প্রাথমিকভাবে, ৫০০টি এই যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের জন্য ৩০০টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মৎস্যজীবীদের জন্য ২০০টি যন্ত্র বসানো হবে। পরে, অন্যান্য এলাকায়ও এই যন্ত্র বসানো হবে।এছাড়া, সরকারী সহায়তার মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের ট্রলারে এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে, যাতে তাদের অবস্থান এবং বিপদের সংকেত সহজেই জানা যায়। এতে মালিকদের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষও ট্রলারের অবস্থান জানতে পারবেন। এই যন্ত্রের মোবাইল অ্যাপ আরও দ্রুত ও সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা করবে। আগের তুলনায় এটি অনেক বেশি উন্নত এবং মৎস্যজীবীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।