অরূপ ঘোষ, ঝাড়গ্ৰাম ১৫ মার্চঃ ‘তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ’ দিয়েই যাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু সমাধান আর কিছু হয় না। অগত্যা রাস্তার ধারে কোনওমতে মাথা গোজার ঠাই করে নিয়েছেন তাঁরা। বেলপাহাড়ির মুচিপাড়ার ঘটনা। সেখানকার বাসিন্দারা ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে পাট্টার কাগজ পেয়েছিলেন। তারা ভূমিহীন তাই সরকার থেকে তাদেরকে পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাট্টার জমি কোথায় দেওয়া হয়েছে সেই জায়গা আর দেখিয়ে দেওয়া হয়নি। তাই তারা আজও ওই কাগজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রশাসনের দরবারে দরবারে। কিন্তু জায়গা আর পাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা থেকে বেলপাহাড়ির মুচিপাড়ার ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাট্টা পাওয়া বাসিন্দারা কাগজ পেলেও বাস্তবে জমি এখনো পাননি।
ভূমিহীনদের কথায়, প্রশাসনকে বারবার জানালেও তারা বলে বেলপাহাড়ির আস্থাজুরি মৌজাতে তাদের কে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জায়গা প্রশাসনের তরফ থেকে দেখিয়ে দেওয়া হয়নি। তারা আরও বলেন, যে জায়গাটা প্রশাসন তাদের পাট্টা দিয়েছে ওই জায়গাতে আদিবাসীরা দখল করে রয়েছে। তারা ওখানে জায়গা নিতে গেলে রীতিমতো তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ওই আদিবাসীরা। প্রশাসনের তরফ থেকে আজ নয় কাল নয় পরশু করে ঘোরানো হচ্ছে কিন্তু জায়গার কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না। তাই তারা আজও আবাস যোজনার বাড়ি থেকে বঞ্চিত। অগত্যা বেলপাহাড়ি রাস্তার ধারে ছোট ছোট বাড়ি করে তারা বসবাস করছেন।
বেলপাহাড়ির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাসদা বলেন, যখন পাট্টা পেয়েছিলেন তখন বললে হয়তো পেয়ে যেতেন। এখন অনেকদিন হয়ে গিয়েছে। তাও আমরা বিএলআরওর সাথে আলোচনা করে দেখছি বিষয়টি। আমার কাছে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। এলে আমি খতিয়ে দেখতাম।
তাই তারা পাট্টা পেলেও আজও ভূমিহীন। পাট্টার কাগজকে সোনা দানার মত গুছিয়ে রেখেছেন। কবে সেই জায়গা পাবেন সেদিকেই তাকিয়ে ভূমিহীনরা।