ব্যুরো নিউজ,১৯ এপ্রিল: শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদ এলাকায় ঘটে যায় এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। ঘুমন্ত মানুষের ওপরে আচমকাই ভেঙে পড়ে একটি চারতলা আবাসিক ভবন। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ বিকট শব্দে থমকে যায় গোটা এলাকা। তখন ভবনের ভেতরে ঘুমোচ্ছিলেন বহু মানুষ, যাঁদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল, দিল্লি পুলিশ ও এনডিআরএফ-এর উদ্ধারকারী দল। ইতিমধ্যেই ধ্বংসাবশেষ থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও অন্তত ১৫ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
উদ্ধারে রাতভর তৎপরতা, পাশে সাধারণ মানুষও
ভবন ধসের পরে দ্রুত উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড, জীবিত ব্যক্তিদের খোঁজে চলছে খোঁজখবর। উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। কেউ টর্চ, কেউ হাতুড়ি হাতে ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এই সহযোগিতাতেই কয়েকজনকে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির কারণে তার ভিত আরও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শেষপর্যন্ত রাতের অন্ধকারে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনার পর আশপাশের কয়েকটি বাড়িও খালি করে দেওয়া হয়েছে এবং পুরো এলাকা নিরাপত্তার স্বার্থে ঘিরে রাখা হয়েছে।
দিল্লি পুরসভা ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন এবং এখনও প্রিয়জনের সন্ধানে কেউ কেউ চোখ রাখছেন ধ্বংসস্তূপের দিকে। এই ঘটনাই ফের মনে করিয়ে দিল, কীভাবে বড় শহরের বুকে থাকা পুরনো ও দুর্বল ভবনগুলো বিপদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে যখন তখন।