ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ইতিমধ্যেই দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে এবং সরকারি হাসপাতালে ওই সংস্থার সরবরাহ করা ওষুধ ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এর পরিপ্রেক্ষিতে, পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলাস্তরের হাসপাতালগুলোকে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, এই কাজের জন্য আর্থিক তহবিলও পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরে।
এ বছর আর জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই জানিয়ে দিলো আবহাওয়া দফতর
ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান
তবে, অভিযোগ উঠেছে যে, অনেক জেলায় ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ওষুধ সরবরাহ করতে চাইছে না, যার ফলে রোগীরা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ এবং ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিজ়’— এই দুটি সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ২৫ ধরনের ওষুধ সরকারি ভাবে সরবরাহ করা হত। এর মধ্যে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট এবং সাধারণ স্যালাইনের পাশাপাশি জরুরি কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও ছিল।স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার সরাসরি ওষুধ সরবরাহ করে বা নির্দিষ্ট সংস্থাকে বরাত দেয়।
কিন্তু বর্তমানে ওই দুই সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায়, এই ব্যবস্থাগুলি কার্যকর নয়। এ কারণে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছে যে, সরকারি হাসপাতালগুলোকে ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হবে অথবা স্থানীয়ভাবে অন্য জায়গা থেকে ওই ওষুধ সংগ্রহ করতে হবে।শহরের মেডিক্যাল কলেজগুলো ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে ওই ওষুধ সংগ্রহ করছে, তবে জেলাস্তরের হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলোর জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
চিরুনি পরিষ্কার রাখুন সহজেই: ঝকঝকে চিরুনি পেতে জানুন কিছু সহজ টিপস
অভিযোগ, ওই এলাকার ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ওষুধ সরবরাহ করতে রাজি নয়, ফলে এখানে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া, জেলায় পর্যাপ্ত ভেন্ডারের অভাব এবং কোনো সংস্থা থেকে ওষুধ কেনা হলে তা পরবর্তীতে কী বিপদ ডেকে আনবে, সে আশঙ্কায় কলেজ কর্তৃপক্ষও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।এ পরিস্থিতি রোগীদের জন্য নতুন সমস্যা তৈরি করেছে, এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধান না আসলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।