মোদী-ট্রাম্পের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

ব্যুরো নিউজ,২৯ জানুয়ারি :প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরুর লক্ষ্যে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপের কথা সামনে এসেছে। দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী মৈত্রীর বার্তা প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে সাউথ ব্লকের কর্তারা কাজ করছেন। কিন্তু কূটনৈতিক মহল মনে করছে, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগের মতো সহজ ও কুসুমাস্তীর্ণ থাকবে না।

অনিয়মিত পিরিয়ডস? এই লাড্ডু খেলেই হবে সমস্যার সমাধান

প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম

সম্প্রতি, মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের পর হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ভারতকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম (অস্ত্রশস্ত্র) কেনার জন্য অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি দু’দেশের মধ্যে ‘ন্যায্য’ বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছেন। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে এসব বিষয় নিয়ে কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করা হয়নি, এবং কেবল জানানো হয়েছে যে, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি ও প্রতিরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে যে, তিনি ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর মতো নীতি গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর দাবি, কিছু দেশ যেমন ভারত, ব্রাজিল এবং চীন শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকার ক্ষতি করছে।

তাঁর মতে, আমেরিকার স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি, ভারতীয় বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির পরেও, ভারতের বিদেশি অস্ত্র কেনার পছন্দ নিয়ে কিছু আপত্তি রয়েছে আমেরিকার। বিশেষ করে, ভারত রাশিয়া এবং ফ্রান্সের মতো দেশ থেকে অস্ত্র কেনা এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে জোর দেওয়া আমেরিকার জন্য কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করছে।এদিকে, ভারত গত কয়েক বছরে আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনেছে, যার মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের প্রিডেটর ড্রোন কেনার চুক্তি অন্যতম। তবে, ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি ও আমেরিকার অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রাজ্যে শিক্ষার মানে অবনতির চিত্রঃ সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য চ্যালেঞ্জ বাড়ছে

এর পাশাপাশি, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও গভীরতা বৃদ্ধির জন্য একে অপরকে আরও বেশি সহযোগিতা করার জন্য চাপ বাড়ছে।এমন পরিস্থিতিতে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নানা বৈষম্য এবং ভূরাজনৈতিক সমীকরণের উপর। যেহেতু দু’দেশের সম্পর্ক এখন অনেকটাই অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হয়েছে, তাই ভবিষ্যতে কি এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে, না কি কিছু জটিলতা আসবে, তা সময়ই বলবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর