ব্যুরো নিউজ,১ জানুয়ারি:অপর্ণা সেন একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং পরিচালিকা, তাঁর জীবনটা কেবল অভিনয় কিংবা পরিচালনা সীমাবদ্ধ ছিল না। সংবাদ সংস্থায় চাকরি, অভিনয়ের মহড়া, এবং কত্থকের প্রশিক্ষণ, সবই একসঙ্গে সামলাতেন তিনি। এমনকি সংসার ও সন্তানদের দেখভালও ছিল তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একবার সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “সে সময় আমি এতটা ব্যস্ত ছিলাম যে, বড় মেয়েকে খুব বেশি সময় দিতে পারিনি। তবে এখন সেই অভাব পূরণ করার চেষ্টা করি।”
মূত্রনালির সংক্রমণ থেকে মুক্তির উপায় জানুন, কীভাবে পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখবেন?
অপর্ণা সেনের সাজগোজ
অপর্ণা সেনের জীবনে কখনও কখনও এমন কিছু ছবি ছিল, যা তাঁর পছন্দ ছিল না, তবে সংসারের প্রয়োজনে সেগুলো করতে হয়েছিল। “আমি একা হাতে মেয়েদের মানুষ করেছি, আর্থিক প্রয়োজনে বাণিজ্যিক নাটক করতে হয়েছিল।” অপর্ণা জানান, তিনি কখনও মেয়েদের সামনে নিজেকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করেননি। বরং তাঁরা দেখে শিখেছে কীভাবে জীবনে কিছু করা উচিত।নিজের জীবনের ভুলগুলো নিয়ে অপর্ণা বলেন, “আমার জীবনে অনেক কিছু ছিল যা যদি আরেকটু ভিন্নভাবে করতাম, হয়তো আরও বেশি কাজ করতে পারতাম।” তবে তাঁর মতে, সাফল্য সবার জন্য আলাদা। “যতটা সম্ভব সুন্দরভাবে বাঁচা, সেটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।” অপর্ণা সেনের অভিনয় জীবনের শুরু শশী কপূরের সঙ্গে, যখন তিনি ‘৩৬ চৌরঙ্গী লেন’-এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। শশী কপূর প্রথমে তাঁর পরিচালনা দক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু পরে ছবির সফলতার পর সেই সন্দেহ দূর হয়ে যায়। তিনি তাঁর পরবর্তী ছবির জন্য অপর্ণাকে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েছেন।
কারলার ছাড়াই বাড়িতেই সহজ উপায়ে চুল করুন ঢেউখেলানো বা কোঁকড়ানোঃ রইল তিনটি চমৎকার পদ্ধতি
অপর্ণা সেনের সাজগোজও অনেকের কাছে জনপ্রিয়। তার শাড়ি, কেশসজ্জা এবং গয়না সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল। তবে তিনি নিজে কখনও নিজেকে খুব জোর করে সাজাতেন না। “এটা আমার নিজস্ব রুচির ব্যাপার ছিল, যা পরে সকলের ভালো লাগতে শুরু করেছিল,” বলেন অপর্ণা।অপর্ণা সেন তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়েও সবসময় সচেতন থাকেন। তিনি নিয়মিত যোগাসন এবং ক্লিনিং ও টোনিং করেন। “কোনো কারণে নিজেকে মোটা হতে দিইনি, এতে অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে,” তিনি বলেন। তাঁর জীবনের নানা দিক, সংগ্রাম ও সাফল্য তাঁর আত্মবিশ্বাস এবং সাহসিকতার পরিচায়ক।