ব্যুরো নিউজ,৩১ ডিসেম্বর:ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন যুগের সূচনা হল এই বছর শেষে। অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হলো স্প্যাডেক্স মিশন, যা ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। ১৪০ কোটি ভারতীয়র আশাকে বাস্তবায়িত করে মহাশূন্যের দিকে পাড়ি দিল ইসরোর পিএসএলভি সি-৬০ রকেট, যার মধ্যে ছিল দুটি স্পেসক্রাফ্ট— চেজার (SDX01) ও টার্গেট (SDX02)। এই মিশনটি মূলত মহাকাশে স্পেস ডক পরীক্ষা করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এর আগে, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হয়েছে, এবং ভারতও এই তালিকায় যুক্ত হল।
মিঠুন চক্রবর্তী ও শ্রীদেবীর প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন সুজাতা
“স্পেস ডক”
স্প্যাডেক্স মিশনের সফল উৎক্ষেপণ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষার পর, নির্ধারিত সময় রাত ১০ টায় স্প্যাডেক্স রকেট সফলভাবে তার গন্তব্যে পৌঁছায়। শেষ খবর অনুযায়ী, স্প্যাডেক্স স্পেসক্রাফ্ট ইতিমধ্যে তার কক্ষে সফলভাবে অবস্থান করছে, যা ভারতের জন্য এক বিশাল কৃতিত্ব।এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভবিষ্যতে মহাকাশে মানব অভিযানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হতে পারে। বিশেষ করে চন্দ্রাভিযান এবং স্পেস স্টেশন তৈরির ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রযুক্তি আগামীতে মহাকাশে পৃথিবী থেকে দুই স্পেসক্রাফ্ট একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। একে “স্পেস ডক” বলা হয়, যেখানে দুটি আলাদা স্পেসক্রাফ্ট নির্দিষ্ট গতিতে একত্রিত হয়ে মহাশূন্যে যাত্রা করবে।
মলদ্বীপের বিরোধী দল এমডিপি ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মুইজ্জুকে পদ থেকে সরাতে?
স্প্যাডেক্স মিশন সফল হওয়া সত্ত্বেও এই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় একে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২৫ ঘণ্টার কাউন্টডাউনের পর ৪৪.৫ মিটার উচ্চতার পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলে (PSLV) দুটি স্পেসক্রাফ্ট, যার মোট ওজন ছিল ২২০ কেজি, সফলভাবে মহাশূন্যে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ইসরোর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত, যা ভবিষ্যতে আরও বড় পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করছে।