ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।বাংলাদেশের হিন্দু মানুষজনদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কতটা দায়বদ্ধতা আছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ‘ওনার তো মেম্বার অফ পার্লামেন্টরা আছে তাদেরকে দিয়ে লোকসভায় বিষয়টা উপস্থাপন করে মমতা তার সদিচ্ছার প্রমাণ দেখান।’ তিনি বলেন আমরা এখনো মনে করি বিষয়টা রাজনৈতিক নয়, বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষা, এপারের ওপারের স্বজন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের পাশে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দাঁড়ানো উচিত। সেটা পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যদি এই রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রীও চান সেটা তার যে সদিচ্ছা তা তার কার্যক্ষেত্রে প্রমাণ করে তিনি দেখান।
বাংলাদেশে আক্রান্ত বেলঘরিয়ার যুবক, আতঙ্কিত সায়ন ফিরলেন রক্তাক্ত অবস্থায়
রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে হবে
শুভেন্দু বলেন ‘আমরা তো রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করছি আমরা যখন বাংলাদেশ ডেপুটি কমিশনে প্রথম গেছিলাম বাংলাদেশ ঘটনার পর বাংলাদেশের পুলিশ ছটা ব্যারিকেট ঘিরে আমাদের আটকে ছিল।উনি যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের উপরে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার দমন চালাচ্ছিলেন তখন তিনি আহ্বান করেছিলেন যারা আক্রান্ত হবেন তিনি আসুন আমি তাদের শেল্টার দেব।তখন প্রধানমন্ত্রীর কথা,পররাষ্ট্র দপ্তরের কথা বা পররাষ্ট্রনীতির কথা তার মনে ছিল না ? এখন যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং বাংলা তথা গোটা পৃথিবী জুড়ে বাঙালি হিন্দু এবং সনাতনী হিন্দুরা কার্যত রাস্তায় নেমে পড়েছেন ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে এমনকি ওনার দলের হিন্দু সমর্থকদের মধ্যেও ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়েছে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন দায়িত্বটা ওনাকেও নিতে হবে দাবী শুভেন্দুর। তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে ওনার আপত্তি থাকতে পারে আবার উনি আদানিকে ফারাক্কার উপর দিয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিয়ে যাবার জন্য আম এবং লিচু চাষীদের মাথায় পুলিশকে দিয়ে লাঠি ও মারতে পারেন তাই একই অঙ্গে বিভিন্ন রূপ না দেখিয়ে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ওনাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শমীক ভট্টাচার্যঃ ‘ভারতীয় রাষ্ট্রনায়কদের ভুল সিদ্ধান্তের ফল’ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলমান অত্যাচার
শুভেন্দু বলেন আমি একজন সনাতনী হিসাবে এবং আমার মা বরিশাল থেকে আগত হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এই অনুভূতিটা কাজ করছে, তাই আমি সনাতনী ধ্বজ এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। ‘ভোট চাই ভোট দাও’, ‘পাল্টে দিন উল্টে দিন’, ‘গদিটা আমাদের দিয়ে দিন’ এ কথা আমরা কোথাও বলছি না। আমরা বলছি দুনিয়ার হিন্দু এক হও এবং এই অত্যাচার বন্ধ করো।শুভেন্দু বলেন ‘আমি গত পরশুদিনই যাদবপুরে বলেছিলাম, ভারত সহ সমস্ত মানবিক দেশগুলি্র উচিত জাতিসংঘে অবিলম্বে পিস কিপিং ফোর্স পাঠিয়ে পীড়িতদের উদ্ধার করা।কিন্তু সে কথা আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তা আপত্তির কিছু নেই।সেই সদিচ্ছার প্রকাশ কার্যক্ষেত্রে দেখানো উচিত। সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন ১০ দিন ধরে গভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া চুপ করে আছেন উত্তরে বলেন কেউ চুপ করে বসে নেই তিনবার পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে রিয়াক্ট করেছে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।। পররাষ্ট্র মুখপাত্র বলা মানে ভারত সরকারের বলা। আর আমরা যে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছি হেমন্ত বিশ্ব শর্মা করছে ত্রিপুরার মানিক সাহারা করছে আমরা সব বিজেপি ম্যান আমাদের পার্টি এবং বিচার পরিবার সম্পূর্ণভাবে একসঙ্গে আছে। আর আমরা যে আইডিওলজি এর ওপর দাঁড়িয়ে বিজেপি করি তা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে প্রেস কনফারেন্স করে বলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন যার বিচারধারা এবং আদর্শের উপর দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি মানবসেবার কাজ করে। এবং রাষ্ট্রবাদকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
