ব্যুরো নিউজ, ১ ডিসেম্বর : কলকাতার জনপ্রিয় হলুদ ট্যাক্সি এখন শহরের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে কলকাতার নস্টালজিয়া ও আবেগ। তবে কালের পরিক্রমায় এখন এই ট্যাক্সি বিলুপ্তির পথে। আদালতের নিয়ম মেনে অধিকাংশ হলুদ ট্যাক্সির বয়স পনেরো বছরের বেশি হয়ে যাওয়ায় একে একে রাস্তায় নামছে না পুরনো অ্যাম্বাসাডর গাড়িগুলি। হিন্দমোটর কারখানা বন্ধ হওয়ার পর নতুন করে অ্যাম্বাসাডর তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ফলে হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বর্তমানে শহরের রাস্তায় মাত্র তিন হাজারের মতো হলুদ ট্যাক্সি রয়েছে।
ইসকন সদস্যদের ভারতে প্রবেশে বাধা, বাংলাদেশে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে
গাড়িতে চারজন যাত্রী বসার থাকার ব্যবস্থা

হলুদ ট্যাক্সি চালকদের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে পুরনো পারমিটে নতুন গাড়ি নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়। তাদের দাবি নতুন গাড়ির মডেল আলাদা হতে পারে কিন্তু রং হলুদ হওয়া উচিত এবং গাড়িতে চারজন যাত্রী বসার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ট্যাক্সি চালকদের মতে, এর মাধ্যমে শহরের ঐতিহ্য বজায় থাকবে এবং গাড়ির সংখ্যা কমবে না।
হলুদ ট্যাক্সির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রীসাথী অ্যাপের মাধ্যমে যা চালু হওয়ার পর ৬০.৯৮ লক্ষ ট্রিপের তথ্য পাওয়া গেছে। এই অ্যাপে ৩.১৯ কোটি বার সার্চ করা হয়েছে এবং ট্যাক্সিচালকদের মোট রোজগার দাঁড়িয়েছে ১৬৬ কোটি টাকা।
সিডান গাড়ি নাকি এসইউভি? কোনটা বেশি জনপ্রিয় জানেন?
এআইটিইউসি অনুমোদিত ট্যাক্সি সংগঠনের আহ্বায়ক নওয়ালকিশোর শ্রীবাস্তব জানান “হলুদ ট্যাক্সি শহরের হেরিটেজ যান। এটি কলকাতার ইতিহাসের অংশ, যা তুলে দেওয়া উচিত নয়।” বর্তমানে শহরে প্রায় ৭,৫০০ হলুদ অ্যাম্বাসাডর ট্যাক্সি চলছে, যার মধ্যে ৪,৫০০ ট্যাক্সি পুরনো বয়সের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী এক বছরে বাকি ট্যাক্সি গুলিও বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে, হলুদ ট্যাক্সির এই ঐতিহ্য বাঁচাতে নতুন কিছু সংস্থা এই পরিবহণ সেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।