এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবন

ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনের জন্য পাঁচ বছরের একটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।বর্তমানে সেই পরিকল্পনার দ্বিতীয় বছর চলছে। কিন্তু এটি সহজ নয়।নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সংস্থার কর্মীদের মধ্যে অশান্তি এবং পরিষেবার মানে পতন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, কর্তৃপক্ষের মতে, সংস্থার পরিস্থিতি এমন যে, এটি সমাধান করতে কিছুটা সময় তো লাগবেই।এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি এবং সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন এনডিটিভি-র প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্যাগুলো এমনই বড়, যেন একটি এভারেস্টের সমান।তবে, সমস্যাগুলো সম্পর্কে তারা অস্বীকার করছেন না। উইলসন আরও বলেন, সংস্থার পুনরুজ্জীবন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, যা ধৈর্য ধরে চালিয়ে যেতে হবে।

সুখেন্দুশেখর রায়ের রাজ্যসভায় আসন বদল, তৃণমূলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ল?

ধর্মঘটের ডাক


এয়ার ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তার বিভিন্ন শাখা সংস্থার কর্মীদের একত্রিত করা। যেমন ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া—এই সব শাখা সংস্থার কর্মীরা আলাদা কাজের পদ্ধতিতে অভ্যস্ত। তাই তাদের একত্রিত করে একে অপরের সঙ্গে কাজ করানো খুবই কঠিন।আরও একটি বড় সমস্যা হলো ভিস্তারা পাইলটদের ক্ষোভ। ভিস্তারা এবং এয়ার ইন্ডিয়া পাইলটদের উড়ানের সময়সীমা ৭০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪০ ঘণ্টা করা হয়েছে, যার ফলে তাদের বেতন কমবে। এই নিয়ে অনেক পাইলট ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছেন।

ইসকনের সাফাই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে কোনও দূরত্ব তৈরি হয়নি

উইলসন জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়াকে পুনরায় চালু করতে হলে অনেক সময় এবং পরিশ্রম দরকার। তারা ইতিমধ্যেই কর্মীদের গড় বয়স কমিয়ে ৫৪ থেকে ৩৫ বছরে নামিয়ে এনেছে এবং ৯,০০০ নতুন কর্মী নিয়োগ করেছে। চারটি এয়ারলাইন্সকে একত্র করে দুটি করা হয়েছে, ১৪০টি আইটি সিস্টেম এবং ১০০টি নতুন বিমান আনা হয়েছে। নতুন প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে এবং পরিষেবার মান উন্নত করতে ন্যূনতম মানদণ্ড স্থির করা হয়েছে।এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই সংকট কাটিয়ে সংস্থাকে চাঙ্গা করতে সময় লাগবে, তবে তারা এই চ্যালেঞ্জে সফল হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর