মমতার নতুন সিদ্ধান্ত

ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে সম্প্রতি একটি নতুন দিক উঁকি দিয়েছিল, যেখানে দলের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনা যাচ্ছিল। এমনকি, অভিষেককে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী করার পক্ষেও কিছু নেতা সোজা ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন। এইসব খবর একে একে দল ও রাজনীতির অন্দরে জল্পনা সৃষ্টি করেছিল। তবে সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে এই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি দলের সুপ্রিমো, তিনি দলের ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছেন।

সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতারঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়

শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে দেওয়া হবে না


এদিনের মিটিংয়ে মমতা স্পষ্ট করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দিল্লির রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করবেন। তার টিমের মধ্যে থাকছেন কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব। তবে দলের রাজ্য রাজনীতি নিয়ে অভিষেক এখন কি আর মুখ খুলবেন না, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তৃণমূলের অপর মুখপাত্র চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অভিজ্ঞ নেতা এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিষেকের মন্তব্য করার পুরো অধিকার রয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কর্মসমিতির মিটিংয়ে ছিলেন অভিষেক। মিটিং শেষে তিনি দিল্লির বিমানে উড়ে যান। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অভিষেকের ডানা ছাঁটা হয়নি। বরং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনব্যবস্থার মধ্যে দলের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের নির্যাতন নিয়ে তদন্তে নতুন দিক

দলের অন্দরে যে ‘নবীন প্রবীণ’ বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা থেকেও মমতা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি দলের পুরনো নেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরিয়ে এনে সেই বিতর্কের কড়া জবাব দিয়েছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের মধ্যে বিশিষ্ট নেতারা যেমন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রয়েছেন।এছাড়া, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মমতা নতুন কমিটি গঠন করেছেন। তিনটি পৃথক কমিটির মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই কমিটিগুলি যদি কোন নেতা বা নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট নেতাকে সাসপেন্ড করা হবে। মমতার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিষ্কার ইঙ্গিত, দলের মধ্যে কোনো অবস্থাতেই শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে দেওয়া হবে না।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর