ব্যুরো নিউজ,১৩ নভেম্বর:আজ, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ ৪৩টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে কোলহান, সিংভূম, সেরাইকেলা এবং খরসোয়া জেলা, যেখানে একসময় মাওবাদীদের প্রভাব ছিল। তবে গত কয়েক বছরে মাওবাদীদের দাপট কমে যাওয়ায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলছে শান্তিপূর্ণভাবে, তবে সতর্কতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে প্রতিটি বুথে।প্রথম দফার নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৬৮৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে একদিকে যেমন ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন, তেমনই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে। গত লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ভাল ফল করেছিল, এবং সেই হিসাবেই বিজেপি এই নির্বাচনে প্রথম দফায় এগিয়ে থাকার আশা করছে। তবে জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি-র ‘ইন্ডিয়া’ জোটও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং তারা ক্ষমতা দখলের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারত-চিনা সেনার যৌথ টহলঃ লাদাখে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ
উৎসাহ এবং শৃঙ্খলার মধ্যে
অপরদিকে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’। বিজেপি সাংসদ দীপক প্রকাশ এই ইস্যুতে সরব হয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডকে ধ্বংস করেছে এবং এটি ভারতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ পাশাপাশি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠে এসেছে, যা নির্বাচনী প্রচারে বড় ভূমিকা নিচ্ছে।এছাড়া, কিছু প্রার্থী যেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন এবং তার পুত্র বাবুলাল, বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন জেএমএম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা, যেমন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ও মন্ত্রী রামেশ্বর ওরাওঁ।
মাইক ওয়াল্টজের নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বড় ঘোষণা
ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার নির্বাচনের এই উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে, ভোটগ্রহণ চলছে উৎসাহ এবং শৃঙ্খলার মধ্যে। এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৩.৪% এবং ভোটদানকারীদের মধ্যে দেখা গেছে সরকারের প্রতি তাদের নানা প্রত্যাশা।এই নির্বাচনের দিকে সকলের নজর রয়েছে, এবং আগামী দিনগুলোতে আরও তীব্র রাজনৈতিক লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে, ঝাড়খণ্ডে আজকের নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং আগামী দিনের সরকার গঠন নিয়ে।

















