ব্যুরো নিউজ,১২ নভেম্বর:বছরের শেষ দিকে এসে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এক বড় সমস্যায় পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এখনও প্রায় কোনও স্কুলেই কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা পৌঁছায়নি। এর ফলে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকদের একাংশ জানিয়েছেন, এই গ্রান্ট না আসায় বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, চক ও ডাস্টার কেনার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খরচও চালানো সম্ভব হচ্ছে না।কম্পোজ়িট গ্রান্ট হল সেই অর্থ, যা কেন্দ্র এবং রাজ্য যৌথভাবে স্কুলগুলোর দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রদান করে। কেন্দ্র ৪০ শতাংশ এবং রাজ্য ৬০ শতাংশ দেয়। এই টাকা স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা অনুযায়ী প্রদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে যেখানে প্রায় এক হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, সেখানে বছরে এক লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা।
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল মামলায় রাজ্যের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জঃ সুপ্রিম কোর্টের কঠোর নির্দেশ
পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু
তবে অভিযোগ, এমন প্রায় কোনও স্কুল নেই, যা নিয়মিত নির্ধারিত টাকা পাচ্ছে। চন্দন মাইতি, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘এক হাজারের বেশি ছাত্রের স্কুলগুলোর এক লক্ষ টাকা তো দূর, ৫০ হাজারও নিয়মিত পাচ্ছে না।’বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা জানান, শুধুমাত্র শিক্ষার সরঞ্জাম নয়, স্কুলের ছোটখাটো মেরামতি যেমন চেয়ার-টেবিল ভাঙলে তা সারানো, ভবনের ক্ষুদ্র মেরামতি—এসবও কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা দিয়েই হয়। কিন্তু এই টাকা না পাওয়ার কারণে সেগুলোও করা সম্ভব হচ্ছে না।পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র অভিযোগ করেন, ‘স্কুলের দৈনন্দিন খরচ চলে না। আমাদের শিক্ষকরা প্রত্যাশা করে থাকে যে, কম্পোজ়িট গ্রান্ট পেলে অন্তত কিছু খরচ মেটানো যাবে।’
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি প্রত্যাশী, মোদী-শাহের পরিবর্তনের ডাক
একই সুরে, বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার জানান, অনেক প্রাথমিক স্কুলের পরিকাঠামো এতটাই খারাপ যে, পড়ুয়া সংখ্যা কমছে। সেই কারণে কম্পোজ়িট গ্রান্টও কম পাচ্ছে।এদিকে, শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছরের কম্পোজ়িট গ্রান্টের বরাদ্দ টাকা ইতিমধ্যে অর্থ দফতরে পাঠানো হয়েছে এবং শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে যাবে। আশা করা যায়, নভেম্বরের শেষে এই টাকা স্কুলগুলোর কাছে পৌঁছাবে। তবে শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, শেষ মুহূর্তে এই টাকা পাওয়া গেলে তা দিয়ে স্কুলের জরুরি মেরামতি এবং অন্যান্য খরচ চালানো কীভাবে সম্ভব হবে, বিশেষ করে যখন তৃতীয় বা ফাইনাল পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হতে চলেছে।