৩১ বছরের কারাদণ্ড
নার্গিস হৃদ্যন্ত্র এবং ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন অনেক দিন ধরে। গত বছর তিনি হাসপাতালে ভর্তির আবেদন করেছিলেন, কিন্তু শরিয়তি আইন অনুযায়ী হিজাব পরতে অস্বীকার করার কারণে অনুমতি মেলেনি। এর প্রতিবাদে তিনি অনশনও করেছিলেন। নার্গিসের সমর্থকদের সংগঠন ‘দ্য ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন’ জানায়, গত অগস্টের শেষদিকে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার অনুমতি দেয়নি। এতে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে।২০২৩ সালে নার্গিস মহম্মদি ‘নারীদের ওপর শোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই’ করার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হন। কিন্তু তেহরান প্রশাসন তাকে নরওয়ে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণের অনুমতি দেয়নি। এর ফলে তার যমজ সন্তান আলি এবং কিয়ানাই মায়ের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন। সেই সময় নোবেল কমিটি নার্গিসের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ইরান সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু তা ফলপ্রসু হয়নি।
কেন্দ্রের সতর্কতাঃ ডিজিটাল জালিয়াতির নতুন কৌশল
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে প্রকাশ্যে মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। নার্গিস মহম্মদির অধিকার আদায়ের জন্য তার লড়াই চলছেই, তবে এর জন্য তাকে প্রচুর ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে। তিনি ১৩ বার গ্রেফতার হয়েছেন এবং ৫ বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।যার ফলে তার বিরুদ্ধে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত জেলে বন্দি অবস্থায় ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন।