ব্যুরো নিউজ,১৬ অক্টোবর:কলকাতার মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবারের জোড়া কার্নিভালের ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা উদ্বেগজনক ছিল। একাধিক রাস্তার যানজট নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পুলিশ সচেষ্ট থাকলেও তা কার্যত অকার্যকর প্রমাণিত হয়। ফলে, বহু মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হন।রেড রোডে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল চলছিল, এবং অন্যদিকে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এই দুটি অনুষ্ঠানের ফলে মধ্য কলকাতা দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড এবং চৌরঙ্গী রোডের মতো বিভিন্ন এলাকায় গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। ডোরিনা ক্রসিং বন্ধ থাকায় উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টে ডাক্তারদের অনশনঃ রাজনৈতিক তর্ক ও তদন্তের গতিপ্রকৃতি
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
দুর্গাপুজোর কার্নিভালের জন্য দুপুর ২টা থেকে রেড রোড এবং সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ রাখা হয়। এর ফলস্বরূপ, রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন রাস্তায় হাওড়ামুখী গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে। গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হতে থাকে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে দ্রোহের কার্নিভালের জমায়েত শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।দিনের আলো শেষ হওয়ার পর জমায়েত এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ডোরিনা ক্রসিং দখল করে ফেলেন, ফলে লেনিন সরণি এবং এস এন ব্যানার্জি রোডে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে আসা ধর্মতলা মুখী গাড়িগুলোকেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এই কারণে শিয়ালদহের এপিসি রোডেও যানজটের সৃষ্টি হয়। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সগুলোও আটকে পড়ে, আর সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলো দাঁড়িয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরী সিনিয়র পর্যবেক্ষক
দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে অনেকেই শিয়ালদহের দিকে হেঁটে যেতে বাধ্য হন। বারাসতের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমি আধ ঘণ্টা বাসে বসে থাকার পর হাঁটা শুরু করেছি।’’শুধু শিয়ালদহ নয়, রেড রোডের কারণে রবীন্দ্র সদন মোড় থেকে হাওড়ামুখী গাড়িও আটকে যায়। পুলিশ বিকল্প পথে যানবাহন চালানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মেট্রোয় উঠেন, যার ফলে মেট্রোয় জায়গা পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়।লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার মতে, ‘‘যতটা সম্ভব বিকল্প পথে যানবাহন ঘুরিয়ে, রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।’’