ব্যুরো নিউজ,১ অক্টোবর:উত্তরপ্রদেশের হাপুরে এক তরুণী, সিতারার মাথায় আঘাত লাগার পর চিকিৎসকের অবহেলার কারণে সমস্যায় পড়েছেন। ১৮ বছরের সিতারা এক প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করার সময় তিনি মাথায় আঘাত পান। তার পরিবার দ্রুত তাকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। চিকিৎসক জানান, সিতারার মাথায় সেলাই করতে হবে। তিনি সেলাইয়ের কাজ শেষ করে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেন।
পুজোর ভিড়ে সাবধান, সক্রিয় ‘বিচ্ছু গ্যাং’
তারপর কি হল?
কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পর সিতারার মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। তিনি চিৎকার করতে থাকেন।সিতারার পরিবার আবার তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ব্যান্ডেজ খুলে অবাক হয়ে যান। মাথার ভিতরে একটি সূঁচ গেঁথে রয়েছে! সূঁচটি বের করার পর সিতারার যন্ত্রণা কমে যায়।সিতারার মা অভিযোগ করেছেন যে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মত্ত অবস্থায় ছিলেন।সিতারার পরিবার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের শাস্তির দাবি তুলেছেন। তবে, হাপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুনীল ত্যাগী বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক কখনও মদ্যপান করেন না। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় জনগণ এবং সিতারার পরিবার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
গ্যাসের দাম নিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়ছে
এটি একটি গুরুতর অবহেলার ঘটনা, যেখানে একজন চিকিৎসকের অবহেলায় একজন রোগীর জীবন বিপন্ন হতে চলেছিল। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এরূপ ঘটনা আর না ঘটে।