ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ে ক্রমাগত বর্ষণের ফলে ধস ও বিদ্যুতের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ না থাকায় সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির কারণে মিরির থার্বু এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং শিলিগুড়ির একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
আরজি করে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডঃ সিবিআইয়ের তদন্তে নতুন মাত্রা
বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতে পরিনত হয়েছে। পাহাড়ে ধস নামার পাশাপাশি সমতলের বিভিন্ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তিস্তা, মহানন্দা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীগুলিতে জল বেড়েছে। আবহাওয়া দফতর আজ উত্তরবঙ্গের জন্য ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে এবং দার্জিলিং, কোচবিহার, ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।এদিকে, সিকিমে মরশুমের প্রথম তুষারপাতও ঘটেছে, যেখানে উত্তর সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপতা ভ্যালি বরফে ঢেকে গেছে। এই অবস্থায় দার্জিলিংয়ের পর্যটকেরা বরফের দৃশ্য দেখতে ভিড় জমিয়েছেন, কিন্তু একই সময়ে সমতলে বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।চকালিম্পং প্রশাসন অতিরিক্ত সতর্কতা নিচ্ছে। প্রবল বর্ষণের কারণে ধসের ফলে বিভিন্ন স্থান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। বিরিকদাড়া ও শ্বেতিঝোরার মতো এলাকায় বড় পাথর গড়িয়ে পড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মোহনবাগানের চ্যালেঞ্জ
শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির অনেক নিচু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলপাইগুড়ির সদর মহকুমাশাসক তমোজিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিস্তার পরিস্থিতি নিয়ে নজরদারি চলছে এবং জরুরি সার্ভিসের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা হেড কোয়ার্টার ত্যাগ না করছছআবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল, ২৮ তারিখেও উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে এনডিআরএফ ও সিভিল ডিফেন্স টিমকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এই পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।