ব্যুরো নিউজ ২৮ সেপ্টেম্বর : মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় সিবিআই হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডেরও ব্যবস্থা হতে পারে। শিয়ালদহ আদালত এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে। দু’জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক বলেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং তাঁদের সামাজিক অবস্থান ও প্রভাবের বিষয়টিও বিচার করতে হবে।
আরজি কর কাণ্ডঃ তৃণমূলের নেতা ও অভিনেত্রীকে সাসপেন্ড
কি জানাল আদালত
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিবিআই সন্দীপ এবং অভিজিতকে আদালতে হাজির করে। তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের জন্য আবেদন করেছিল। আদালত জানায়, হেফাজতের সময়কাল তদন্তকারী সংস্থা ঠিক করতে পারে না, বরং আদালতই সেই সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর আদালত দুই অভিযুক্তকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।আদালতে সন্দীপ এবং অভিজিতের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। বিচারকের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, তদন্ত চলছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা গুরুতর হতে পারে। অভিজিৎ ছিলেন টালা থানার পুলিশকর্তা এবং সন্দীপ একজন চিকিৎসক। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় জামিন দেওয়া উচিত হবে না।
গণকনভেনশনে যুক্ত সকল শ্রেণির প্রতিনিধিরাঃ জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন অব্যাহত
এছাড়া, সিবিআই আদালতে পলিগ্রাফ ও নারকো পরীক্ষার আবেদন জানায়, যা আদালত মঞ্জুর করে। ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে এই বিষয়ে। সিবিআই ক্যামেরার নজরদারিতে শুনানির আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। ফলে শুনানি চলবে খোলা কোর্টে।মহিলা চিকিৎসকের দেহ ৯ আগস্ট উদ্ধার হয়। অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল, পরে সিবিআই সন্দীপ ও অভিজিতকে গ্রেফতার করে।