ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং সেই দিকেই নজর রেখেছে সকলে। নির্যাতিতার বিচার কবে হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা কাটছে না। এমন অবস্থায়, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি সিনেমা তৈরি করেছেন। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন নায়িকা রাজন্যা হালদার। কিন্তু, এই দল বিরোধী কাজের জন্য দুজনকেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ধর্মতলায় সিপিএমের সমাবেশে পুলিশী নিষেধাজ্ঞাঃমামলা হাইকোর্টে
সাসপেন্ড
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তাদের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং রাজন্যা হালদার, দুজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত চলাকালীন তারা দলের কোন পদে থাকবেন না। ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন বহাল থাকবে।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ছবির পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক কটাক্ষ। একজন এক্স হ্যান্ডল ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন, “একটি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা নিষেধ, তাহলে সেই বিষয়ে সিনেমা বানানোর সাহস কীভাবে হয়?” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “মোড় ঘোরাতে ওস্তাদ! রাজন্যা ডাক্তার! আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সিনেমা!”কুণাল ঘোষও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, “আরজি কর প্রসঙ্গ নিয়ে একটি শর্ট ফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা চাই তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার হোক। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে, তাহলে দলের পক্ষ থেকে তা মেনে নেওয়া হবে না।”
সম্পর্কের আগ্রহ হারাচ্ছেন আপনার সঙ্গী কীভাবে বুঝবেন? রইল টিপস
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বকে বলা হয়েছে, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। পুরো পরিস্থিতি অত্যন্ত নজরকাড়া, এবং সমাজে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এটি স্পষ্ট, যে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এই ধরনের সিনেমা নির্মাণ করা, শুধুমাত্র সাংবাদিকতা বা সৃজনশীলতার সীমানা লঙ্ঘন করে না, বরং ন্যায়বিচারের পথকেও আঘাত করে।