ব্যুরো নিউজ,২৮ সেপ্টেম্বর:সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা এবার একত্রিত হয়েছেন গণকনভেনশনে। এখানে শুধু এলিট শ্রেণির সদস্যরা নন, রিকশাচালক, ডেলিভারি বয়সহ নানা পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। পুজোর উৎসব এসে গেছে, এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবের কথা বলছেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের পথে অব্যাহত রয়েছেন। শুক্রবার তারা এসএসকেএম অডিটোরিয়ামে একটি গণকনভেনশনের আয়োজন করেন। এই কনভেনশনটি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের পক্ষ থেকে পরিচালিত হয়।
আরজি কর কাণ্ডঃ তৃণমূলের নেতা ও অভিনেত্রীকে সাসপেন্ড
থ্রেট কালচার ভুলে গেলে চলবে না
এই কনভেনশনে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু সেখানেই রিকশাচালক এবং আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর মেলানো অন্যান্য শ্রেণির প্রতিনিধিরাও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত এই কনভেনশনে মন্তব্য করেন, “থ্রেট কালচার ভুলে গেলে চলবে না। নির্যাতিত পুরুষও হতে পারতেন। হুমকি সংস্কৃতির কারণে আমাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।”মূলত, কনভেনশনের উদ্দেশ্য ছিল সমাজের সকল স্তরের মতামত সংগ্রহ করা। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কতটা সঠিক এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেই সম্পর্কে মতামত নেওয়া হয়। কনভেনশনে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়, যেখানে গত ৯ অগস্ট ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়। ৪৬ জন বক্তা তাদের বক্তব্য প্রকাশ করেন এবং সিনিয়র ডাক্তাররাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানান, “ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না বলেই মানুষ আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আমাদের আন্দোলনের অঙ্কুর যেন নিভে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বিচার ছাড়া আমাদের আর কিছুই চাওয়ার নেই।”
ধর্মতলায় সিপিএমের সমাবেশে পুলিশী নিষেধাজ্ঞাঃমামলা হাইকোর্টে
গণকনভেনশনে অংশগ্রহণকারীদের মতামত শোনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। রিকশাচালক, ডেলিভারি বয়, আইটি কর্মী এবং বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের মতামত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।এদিনের গণকনভেনশনে দুটি নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে একটি হল মহালয়ার দিন মহামিছিল। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে মহা সমাবেশ। অর্থাৎ উৎসব এলেও প্রতিবাদের ঝড় থেমে নেই। জুনিয়র ডাক্তাররা মহালয়ার মহা সমাবেশ থেকে কী বার্তা দেবেন, সেটাই দেখার বিষয়।