ব্যুরো নিউজ ২৭ সেপ্টেম্বর : সম্প্রতি এক নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগে তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার ৩০ মে বালুরঘাট থানায় এই অভিযোগ জানায়, যার পরে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। এবার আদালত রাকেশের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে।
ডায়াবিটিস গায়েব হবে স্টেম থেরাপিতেই মাধ্যমে, নতুন আশার আলো চিনের নয়া গবেষক
হুশিয়ারি নোটিস রাকেশের বাড়িতে
শুক্রবার, বালুরঘাট থানার পুলিশ বালুরঘাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালিপাড়া এলাকায় রাকেশের বাড়িতে হুলিয়ার নোটিস সাঁটিয়ে দেয়। পাশাপাশি, বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ও সেই নোটিস লাগানো হয়। জানা গেছে, কিছু মাস আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাকেশের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ নির্মাণেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে তাঁকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছিল এবং দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও অপসারণ করা হয়।রাকেশ বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, পকসো ধারায় মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। আদালতের তরফে হুলিয়া জারি হওয়ার পর এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে।”
সুইৎজ়ারল্যান্ডে প্রথম ‘সুইসাইড পড’ ব্যবহারে গোলযোগ
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার পাল্টা মন্তব্য করেন, আরজি কর-কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতে পুলিশ এই ধরনের নাটক করছে। রাকেশ শীল কোথায় রয়েছেন, তা পুলিশ জানে। তাঁকে যে কোনো দিন ইচ্ছা করলে গ্রেফতার করা সম্ভব। এটা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা।এই ঘটনার মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মন্তব্য ও অবস্থানের কারণে জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা এখন দেখার।