ব্যুরো নিউজ,১৮ সেপ্টেম্বর:মঙ্গলবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে ভারতীয় দল হরমনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে চিনকে ১-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। তবে ম্যাচের একটি বিতর্কিত দিক ছিল পাকিস্তানের হকি খেলোয়াড়দের আচরণ। তারা হাতে চিনের পতাকা নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে চিনকে সমর্থন করতে দেখা যায়, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়েছে।
সূর্যকুমার যাদবের প্রত্যাবর্তন: দলীপ ট্রফিতে ফিরছেন আইসিটি-২০ ক্যাপ্টেন
‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’
এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ ধারণাটি ভালোভাবেই শিখে নিয়েছেন। যদিও পাকিস্তানের একাংশের খেলোয়াড়রা ভারতকে বন্ধু বলে দাবি করেন, বাস্তবে তাদের মানসিকতা ভিন্ন। তারা আবারও ভারত-পাকিস্তান শত্রুতাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরলেন, যা অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হয়েছে।এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো মঞ্চে চিনের প্রতি পাকিস্তানিদের সমর্থন প্রদর্শন কেবল একটি দলীয় পছন্দের কথা নয়, বরং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক শত্রুতার প্রকাশ। যেখানে বাবর আজম এবং শাহিন আফ্রিদির মতো ক্রিকেটাররা ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেষ্টা করছেন, সেখানেই হকি দলের এই পদক্ষেপ প্রশ্ন উত্থাপন করছে।
মহাকাশে সঙ্গীতের প্রথম সুর: সারাহ গিলিসের অনন্য উদ্যোগ
পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের এই আচরণ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করেন, পাকিস্তানি হকি দলের এই সমর্থন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে গভীর রাগ এবং শত্রুতার একটি প্রতীক। কারণ, চিন যদি ভালো খেলত, তা হলে হয়তো বিষয়টি ভিন্ন হত। কিন্তু যখন ভারত ফাইনালে উঠে চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা তাদের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির বিরুদ্ধে যাচ্ছেন।এই ঘটনায় বোঝা যায়, খেলাধুলার মাধ্যমে বন্ধুত্ব এবং সৌহার্দ্য স্থাপনের প্রচেষ্টার জন্য ক্রীড়াবিদদের মনোভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলার মঞ্চে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনওই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পাকিস্তানকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে, যা এই শত্রুতার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।