ব্যুরো নিউজ,১৪ সেপ্টেম্বর :আর জি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শহরের রাস্তা থেকে শুরু করে এখন আকাশে পৌঁছাতে চলেছে। এতদিন স্লোগান, গান, কবিতা দিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এখন বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আকাশে উড়বে ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা ঘুড়ি। শহরের পাড়া মহল্লায় ঘুড়ি তৈরির প্রস্তুতি তুঙ্গে।বিশ্বকর্মা পুজো আসছে, প্রতিবাদে যোগদানের উৎসাহ বেড়ে চলেছে। অনেকেই নতুন করে ঘুড়ি ওড়াতে শিখতে চান, যাতে আকাশে তাদের প্রতিবাদের নিশান তুলে ধরতে পারেন।
আজও ভিজবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা
ঘুড়িতে বিচারের দাবি
লেবুতলা পার্কের কাছের পুরনো ঘুড়ির দোকান অজিত দত্তের দোকানে কালো রঙের ঘুড়ি এখন বেশিরভাগ। ঘুড়ির কিছুতে লেখা ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’, অন্য কিছুতে ‘বিচার পাক অভয়া’। অজিত বলেন, এই ঘুড়ি আকাশে ওঠার পরও লেখা স্পষ্ট দেখা যাবে। আর জি করের ঘটনায় সকলের মন কষ্ট পেয়েছে, তাই বেশিরভাগ ঘুড়ির রঙ কালো।
আইপিএল ধরে রাখার সিদ্ধান্ত কবে আসবে? বোর্ডের ঘোষণা নিয়ে নতুন জল্পনা!
প্রথমে অজিত বুঝতে পারেননি যে, ঘুড়ির এত চাহিদা হবে। স্বাধীনতা দিবসের পর ১০০টি ঘুড়ি বানিয়ে তা দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দামে ঘুড়ি কেনা হয়েছে এবং অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে দোকানে এসেছেন।
ঘুড়ির কারিগর সাদেক শেখ দীর্ঘদিন এই কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘এমন প্রতিবাদী ঘুড়ি তৈরি আগে কখনও করিনি। এ ধরনের আবেগ আমি আগে দেখিনি’।
ডানকুনি থেকে দীপক ঘোষ ছেলের সঙ্গে প্রতিবাদের ঘুড়ি কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আর জি করের ঘটনায় রাস্তায় প্রতিবাদ করেছি, এবার ঘুড়ি উড়াবো। বিশ্বকর্মা পুজো এবার আলাদা’।
এখনও আইপিএল-এর দর্শকের চোখ টানায় ধনিই সেরা
শ্যামবাজারের একটি দোকানে শ্যামল দত্তও প্রতিবাদী ঘুড়ি কিনতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এবার ঘুড়ির লড়াই হবে না, সবাই স্বাধীনভাবে ঘুড়ি উড়াবে’।
শহরের বিভিন্ন ক্লাবও বিশ্বকর্মা পুজোয় ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা ঘুড়ি উড়ানোর আয়োজন করেছে। পাটুলির কিশোর বাহিনীর সুবোধ রায় জানান, তারা ১০০০টি ঘুড়ির বরাত দিয়েছেন। সুবোধ বলেন, ‘যে কেউ ঘুড়ি উড়াতে পারবেন, শুধু পাটুলির আকাশে নয়, বিজয়গড়, গাঙ্গুলিবাগান, গড়িয়ার আকাশেও উড়বে’।