ব্যুরো নিউজ,১ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা পশ্চিমবঙ্গ। ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে তিন সপ্তাহ। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দোষীরা অধরা। আরজিকর কাণ্ডের তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই । আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে টানা জেরা করছে তদন্তকারীরা। আরজিকর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বহু প্রশ্ন উঠে আসছে। কেন তাড়াহুড়ো করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ সৎকার করা হলো? কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাড়ির লোককে ফোনে প্রথমে অসুস্থ ,তারপর গুরুতর অসুস্থ এবং শেষে তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হলো,এছাড়া চাদর বিতর্ক সহ একাধিক কারণে তদন্তকারীদের নিশানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার উঠে এলো আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
Rg Kar News: আর জি করে লাল টি-শার্ট রহস্য
ওই ২৫ মিনিট ধরে ক্রাইম সিনে কি তথ্য প্রমাণ লোপাট করা চলছিল?
শীর্ষ আদালতকে পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছিল ৯ আগস্ট সকাল ৯’টা বেজে ৪৫ মিনিট নাগাদ। প্রত্যেক হাসপাতালে ভেতরেই একটি করে পুলিশ ফাঁড়ি থাকে। তদন্তকারীদের প্রশ্ন ঘটনাস্থল অর্থাৎ চার তলার সেমিনার হল থেকে পুলিশের ফাঁড়ি মাত্র দু মিনিটের পথ । অথচ সেদিন তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে। অর্থাৎ এত বড় ঘটনা ঘটার পর কেন পুলিশকে জানাতে ২৫ মিনিট লাগলো সেটা নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। ওই ২৫ মিনিট ধরে ক্রাইম সিনে কি তথ্য প্রমাণ লোপাট করা চলছিল? ওই ২৫ মিনিট কি কি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী।
৫ তারিখে সুপ্রিমে সিবিআই, ভালো কিছু রিপোর্ট দেবে সিবিআই , দাবি ডাক্তারদের
ইতিমধ্যে ক্রাইম সিনের ভিড়ের ভিডিও সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ।সেখানে আরজিকর হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের কর্তা দেবাশীষ সোম, আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সান্তনু দে এবং আরো একজন সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী প্রসূন চট্টোপাধ্যায় কে ক্রাইম সিনের ভিড়ের ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে । প্রশ্ন উঠেছে ঘটনার দিন অত সকাল সকাল কিভাবে এই তিনজন ক্রাইম সিনে পৌঁছে গেলেন? যদি ধরেও নেওয়া যায় যে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় এবং দেবাশীষ সোম কাজের সূত্রে হাসপাতালেই ছিলেন। তাহলে অত সকালে আইনজীবী সান্তনু দে সেখানে কি করছিলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।এরকম আকাধিক প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । পুলিশকে খবর দেওয়ার মাঝের ওই ২৫ মিনিট তথ্য প্রমাণ লোপাট করার আশঙ্কা করছেন নির্যাতিতার পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা।