ব্যুরো নিউজ,১২ আগস্ট:যতই সময় গড়াচ্ছে আরজিকর কান্ড যেন ততই রহস্যজনক হয়ে উঠছে। ডাক্তার থেকে শুরু করে ফরেন্সিক এক্সপার্ট প্রত্যেকেই যেখানে একাধিক ব্যক্তির যোগ থাকার মতো অনুমান করছেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুলিশি তদন্ত কোথায় আটকে রয়েছে? পুলিশি তদন্তের চেহারাটাই বা কি? একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এরকম একটা পরিস্থিতির মধ্যেই ভয়ংকর অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে।
‘রামনবমীর মিছিলে অশান্তি পূর্ব পরিকল্পিত’, তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জল্পনা
মৃত তরুণী চিকিৎসকের মা ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন:
মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা রবিবার দেখা করেন। সেখানে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বিস্ফোরক দাবি করলেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডঃ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, মৃতার মা তাদেরকে জানিয়েছেন, পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার এই কেস ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাদের টাকা অফার করেছেন। নির্যাতিতার পরিবার প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের খবর দেয়। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ফলে এখান থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে, তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধামাচাপা দেওয়ার কোনো বিষয় রয়েছে। নয়তো কেন আত্মহত্যার কথা বলেছিল? মৃতার মার এটাই দাবি। পি এম রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ট্রেনি ওই মহিলা চিকিৎসককে একাধিক ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি চিৎকার করতে পারলেন না কেন? এই পরিস্থিতিতে পুলিশও আপাতত অনুমান করতে শুরু করেছে, তরুণীকে আগে খুন করা হয়, তারপরে ধর্ষণ করা হয়। পিএম রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছে, যতটা প্রতিরোধ করাটা স্বাভাবিক ছিল, ওই তরুণী সেটা করতে পারেননি। ফলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, এই ঘটনায় আরো অন্য কেউ যুক্ত ছিল, যারা তরুণীকে ধরে রেখেছিল।
নির্যাতিতার মা-বাবাকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ নাকি জানিয়েছিল, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে একটি রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশ কিভাবে এবং কেন আত্মহত্যার দাবি করল? মৃতার মায়ের সঙ্গে দেখা করে ডক্টর সুবর্ণ গোস্বামী আরো বলেছেন, মেয়েটির তখনও সৎকার হয়নি। আর সেই সময় পুলিশের একজন পদাধিকারী ওদের টাকা-পয়সা অফার করেছিলেন। যা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তারা। ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় না হলে টাকার অফার কেন করবেন? বাড়ির লোকেরা এটাকে গণধর্ষণ বলে দাবি করছেন। একা কোনো কারুর পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয় বলে মৃতার মা জানিয়েছেন তাদের।