ব্যুরো নিউজ,১৪ জুলাই:বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর…. কবির কথার রেশ ধরেই বলতে হয়, সত্যিই বাংলার রূপ যে কত সুন্দর আর মোহময়ী হয়ে উঠতে পারে, তা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে খোঁজ না নিলে বোঝা যায় না। একদিকে পাহাড়, নদী বইছে কুলকুল শব্দে, সবুজ জঙ্গলের মধ্যে নির্জন নিভৃতে কাটানোর অপরূপ দুর্দান্ত একটি ডেস্টিনেশন। যদি সত্যি নির্জনতার সঙ্গে কোনো টুরিস্ট ডেস্টিনেশন খুঁজে পেতে চান, তাহলে যেতেই হবে বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড়ে।
নিভৃতে কাটানোর সেরা ঠিকানা বড়দি পাহাড়:
ঘন সবুজ বড়দি পাহাড় আপনি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে স্বাগত জানাবে। পাখিরা কিচিরমিচির শব্দে সেই স্বাগত জানানোতে সঙ্গত করবে। কত রংবেরঙের প্রজাপতি চোখের সামনে দেখতে পাবেন। শুধু কি তাই, জঙ্গলের মধ্যে নদীর দুই কুল ছাপানো জল, তবে তার সঙ্গে যদি বর্ষাকালের মেঘের ঘনঘটা দেখতে চান, তাহলে অবশ্যই বেছে নিতে হবে বর্ষাকাল। যদিও এই বড়দি পাহাড় পর্যটকরা বেড়াতে যান বেশিরভাগ শীতের সময়। তবে বর্ষার রূপ অনন্য।
ঘুরে আসি নির্জন ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ফিক্কালে গাঁও
কলকাতা থেকে বেশি দূরে নয়। কমবেশি ঘন্টা পাঁচেকের রাস্তা। তবে প্রথাগত ট্রাভেল করার জন্য যেরকম সাইট সিন খুঁজে বেড়ান, সেই কথা ভাবলে ভুল হবে। এখানে প্রকৃতির সঙ্গে নিভৃতে কাটানোর জন্য আসতে পারেন। চারিদিকে শাল- মহুয়ার বন, অন্যান্য বুনোফুলের গন্ধ আপনাকে মাতোয়ারা করে দেবে। পাখিদের ডাক শুনতে পাবেন সারাদিন। আর পাশেই আছে কাঁসাই নদী। আর এই বর্ষার সময় মুষলধারে বৃষ্টি হলেই নদীর রূপ বদলে যায়।
পাহাড়ি জঙ্গলের পথ বেয়ে পৌঁছে যেতে পারেন কোনো ভিউ পয়েন্টে। গাছপালার ফাঁক দিয়ে নদীর বাঁক দেখতে পারেন। জঙ্গলের চড়াই পথ উপরে চলে গিয়েছে, সেখানেই একটি ছোট্ট শিব মন্দির। বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড় ঘুরতে গেলে স্মৃতির মনিকোঠায় ধরা থাকবে বহুদিন। তাই ব্যস্ত জীবন থেকে একটু প্রকৃতির কোলে নির্জনে নিভৃতে কাটাতে হলে চলে আসতে পারেন বড়দি পাহাড়ের এই নির্জন পর্যটন কেন্দ্রে।