ব্যুরো নিউজ, ৩ মে: রাজভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ওপর। শুধু তাই নয় নির্বাচন চলাকালীন পুলিশের প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
রাজভবন থেকে মোদী বেরনোর পর পরেই রাজ্য ছাড়লেন বোস! রাজ্যপালকে নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত
‘ছদ্মবেশী’ পুলিশদের রাজভবনে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা!
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী শ্নীলতাহানীর অভিযোগ তোলেন। সেই অভিযোগ তোলেন খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চোর গোল পড়ে যায়। ওই মহিলার অভিযোগ রাজ্যপাল নাকি তাকে দুবার শ্লীলতাহানি করেছেন। ওই মহিলা প্রথমে রাজভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকে তার অভিযোগ জানায়। পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে ওই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই ঘটনা নিন্দা করে বলেন, ‘নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগপত্র জমা দিতে গিয়েছেন এক মহিলা। এ কী ধরনের ঘটনা ঘটছে? যে রাজ্যপাল বলেন পিসরুম করছেন। সকলের অভিযোগ শুনবেন। অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন। পিসরুম কি আসলে নারী সম্মানের পিস হাভেন হয়ে গিয়েছে? যেখানে বারবার প্রধানমন্ত্রী নারীশক্তির কথা বলছেন সেখানে রাজ্যপাল নারীর অপমান, অসম্মান করছেন? ছিঃ!’
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের পরেই রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘রাজ্যপালের সম্মানহানি এবং তাঁর বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক বিবৃতি দেওয়ার জন্য চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কলকাতা, দার্জিলিং এবং ব্যারাকপুরের রাজভবনে তিনি ঢুকতে পারবেন না। চন্দ্রিমা কোনও অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানেও যাবেন না রাজ্যপাল।’ এর পাশাপাশি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কী নেওয়া উচিত তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি ভোট চলাকালীন ছদ্মবেশী পুলিশদের রাজভবনে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটের বাজারে ফের আরো একবার রাজ্য-রাজভবন সংঘাত প্রকাশ্যে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।